বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী

ফিনল্যান্ডের সোস্যাল ডেমোক্রেট দল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার নির্বাচিত হয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী সানা মেরিন। এর আগে তিনি পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সানা কেবল নিজের দেশেই নন বরং বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস রচনা করলেন। ফিনল্যান্ডে এর আগে এত কম বয়সে কেউ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।

রোববার এক ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হন সানা। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তি রিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেন অ্যান্তি রিনে।

রোববার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সানা বলেন, পুনরায় বিশ্বাস অর্জনের জন্য আমাদের একত্রে অনেক কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি কখনও কাজের ক্ষেত্রে আমার বয়স বা আমি মেয়ে নাকি ছেলে তা নিয়ে ভাবিনি।

৩৪ বছর বয়সী সানার আগে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ওলেসি হংচারুক ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে তার বয়স ৩৫ বছর। চলতি বছরের আগস্টে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

ফিনল্যান্ডে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ডাক বিভাগের ৭শ কর্মীর মজুরি কমানোর পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক সংকটে পদত্যাগে বাধ্য হন অ্যান্তি রিনে। মঙ্গলবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন সানা।১১ ডিসেম্বর আদালতে যাচ্ছে খালেদার মেডিকেল রিপোর্ট
জাগো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার মেডিকেল রিপোর্ট ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) আদালতে পাঠানো হবে।

মেডিকেল বোর্ডের মতামত সম্বলিত রিপোর্ট এখনও (সোমবার বিকেল সোয়া ৪টা) পর্যন্ত হাতে পাননি বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

বিকেলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে আদালত থেকে পাঠানো চিঠি পেয়েছি। মেডিকেল বোর্ডের মতামত হাতে এসে না পৌঁছালেও আদালতের নির্দেশে নির্ধারিত দিনক্ষণেই রিপোর্ট পাঠানো সম্ভব বলে আশাবাদী তিনি।

গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলে আদালতের নির্দেশনা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে খালেদার মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়নি।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য মেডিকেল রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি বললেও মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তারা গত বৃহস্পতিবারই মতামত দিয়ে দিয়েছেন। তাদের দায়িত্ব মতামত দেয়া, প্রতিবেদন দেয়া বা না দেয়ার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে উপাচার্য বলেন, মতামত তিনি তৈরি করেন না, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে মতামত লিখে দেন। সে মতামতটাই তারা আদালতে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ ও ভালোই আছেন। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে। শ্বাসকষ্ট নেই, দাঁতের সমস্যাও ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু দাঁতটা ফেলে দেয়ার প্রয়োজন থাকলেও এখনো ফেলা হয়নি। তবে সব রোগ ভালোর দিকে থাকলেও গিরার ব্যথা আগের মতোই রয়ে গেছে। কিছুটা শীত নামায় বরং ব্যথাটা বেড়েছে। এ কারণে নিজে চলাফেরা করতে পারেন না। হুইল চেয়ারে বসেই চলাফেরা করতে হয়।

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।