যশোরে প্রেমিকাকে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষণ

jessore map

যশোরের চৌগাছায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক সাগর আহাম্মেদ (১৮) ও সহযোগী সজীব রহমান হৃদয়কে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত সাগর উপজেলার পাশাপোল গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন এবং সজীব পৌরসভার জিওলগাড়ি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

গত ৭ ডিসেম্বর বেড়াতে নিয়ে গিয়ে উপজেলার জগদীশপুর তুলা বীজ বর্ধণ খামারে এ ঘটনা ঘটায়। তবে শনিবার ধর্ষিতা নিজে চৌগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ দুই আসামিকে রোববার আটক করে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে। একইসাথে ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত সাগরের সাথে ২ মাস আগে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তার মেয়েটির পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় অভিযুক্ত সাগর ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তাকে দেখা করার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব অনুসারে সে উপজেলার জগদীশপুর তুলাবীজ বর্ধন খামারে দেখা করতে যায়। সেখানে কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষকদের (কথিত প্রেমিক) নিয়ে আসা একটি কালো প্রাইভেট কারে তুলে নেয়। গাড়ির মধ্যেই বেলা ১১টার সময় সজীবের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে। সাগরের ধর্ষণ শেষে সজীবও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করতে থাকে। এসময় প্রাইভেটের চালক প্রাইভেট কারের নিকট চলে আসলে তারা ওই প্রাইভেটে করে তাকে নিয়ে তুলা খামার থেকে বেরিয়ে যায় এবং ছাত্রীর বাড়ির পাশের একটি বাজারে তাকে নামিয়ে দেয়। নামিয়ে দেয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে এই ধর্ষণের ঘটনা তারা ভিডিও করে রেখেছে। কাউকে জানালে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। পরবর্তীতে বিষয়টি ধর্ষিতা তার পিতা-মাতাকে জানিয়ে ১৪ ডিসেম্বর চৌগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করে। পুলিশ রবিবার ধর্ষক ও তার সহযোগীকে আটক করে।

চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষকদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দু’জনই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।