ইভিএমের ফাঁক কোথায়, জানালেন আমীর খসরু

amir khosru

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে বরাবরই বিরোধীতা করে আসছে বিএনপি। এবার ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণে কারচুরি ফাঁক সামনে আনলেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত ‘১/১১ প্রেক্ষাপট ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইভিএম পদ্ধতির সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, বিশ্বের দুইশ’ দেশের মধ্যে ৫/৬ টা দেশে ইভিএমে নির্বাচন হয়। ওই ৫/৬টা দেশের সরকার ও নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ নয়। তাছাড়া ওইসব দেশে ভোটের ফলের প্রিন্টেড রিসিট দেয়া হয়, যেটা দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা যায়। বাংলাদেশে কিন্তু সেই সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনেও ইভিএম নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তারপরও তারা এটা চালু করছে।

ইভিএম পদ্ধতির ফাঁক নিয়ে তিনি আরও বলেন, ইভিএমে ভোট শেষ হয়ে গেলে রিকাউন্ট করে যাচাইয়ের সুযোগ নেই।

আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ইভিএম ভোট চুরি করার প্রকল্প ছাড়া কিছুই নয়। কোনো প্রার্থী যদি আসন ছেড়ে দিতে চায় তাহলে ইভিএম তার জন্য কাজ করবে। এটি মানুষের ভোটাধিকার চিরতরে কেড়ে নেয়ার যন্ত্র।

আমীর খসরু বলেন, দেশে এখন নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয় এমন যে, কে কয়টা সিট ছেড়ে দেবে। ঢাকার দুটি সিটি নির্বাচনে একটা দেবে নাকি দুটোই ছেড়ে দেবে, নাকি চট্টগ্রামে ওই যে বাই-ইলেকশন হচ্ছে, ওটা ছেড়ে দিয়ে এ দুটো রেখে দেবে, সেই আলোচনা হচ্ছে। এটার জন্য ইভিএম মোক্ষম অস্ত্র।

জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাহউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন এলডিপির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিএনপির ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) মহিলা দলের সভাপতি রাজিয়া আলিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন সরদার।