যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও নানা দূর্নীতির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার মামলাটি করেছেন স্কুল কমিটির দাতা সদস্য ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য রুদ্রপুর গ্রামের লুৎফর রহমান বিশ্বাস।
মামলায় প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি সরকার সহ প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক সদর উপজেলার গোয়ালদহ গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে এ কে এম সামছুল আলম ও মণিরামপুর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের তারিফ মোড়লের ছেলে মুনজুর রহমানকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি সরকার বাদীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আমলে নিয়ে সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি সরকার যোগদানের পর থেকেই স্কুলের সাধারণ শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের অগোচরে নানা ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড শুরু করে। তারমধ্যে দির্ঘদিন দরে ওই দুইজন শিক্ষককে জালিয়াতি করে নিয়োগের চেষ্টা চালায়। এপর্যায় সে চেষ্টা সফল হয়। পরে ওই দুইজনকে সরকারি বেতনের আওতায় আনার সময় তার গোমর ফাঁস হয়। একে একে তার দূর্নীতির সব কিছু সামনে উঠে আসে। এসব বিষয়ে এলাকাবাসী সহ বাদী গত ১১ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাস করলে সে অস্বীকার করে। একই সাথে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর বাদী আদালতে এ মামলা করেন।
উল্লেখ, এসব বিষয়ে জানাজানি হলে স্কুল পরিচালনা কমিটির পক্ষথেকে জরুরী সভা ডেকে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। মৃনাল কান্তি ওই নোটিশের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। পরে তাকে দ্বিতীয় দফা শোকজ করে স্কুল পরিচালনা কমিটি। এছাড়া তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা স্কুলের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি কামনা করেন তারা।