যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মিলন ২ দিনের রিমান্ডে

যশোরে হত্যাসহ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার সকালে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম শুনানি শেষে টাক মিলনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এ প্রসঙ্গে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৪ জানুয়ারি মিলনকে আদালতে হাজির করে সোহাগ হত্যা মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত সেদিন টাক মিলনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

পূর্ব নির্ধারিত দিনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম শুনানি শেষে আসামি মিলনকে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার হন যশোর শহরের পুরাতন কসবার রোস্তম আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন (৪৭)। তার নামে হত্যা, বিস্ফোরক আইনে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন।

এই মামলায় গ্রেফতার তার গাড়ির চালক মো. লিটন গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, টাক মিলনের নেতৃত্বে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

তিনি জানান, তিনি গাড়ি চালিয়ে টাক মিলন, কাজল, তাইজুল ও সাগরের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান। আর মোটরসাইকেলে আকাশ ও আলামিন পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। সেখানে গাড়ির মধ্যেই টাক মিলন বসেছিলেন। তার সামনেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।