বিএন‌পি আ‌বোল তা‌বোল কথা বল‌ছে : কা‌দের

obidul kader
ফাইল ছবি

নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিএনপি চরম হতাশায় ভুগছে এবং আবোল তাবোল কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সময় তি‌নি শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল চাই ব‌লেও জা‌নি‌য়ে‌ছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ রাধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লী‌গের সভা‌নেত্রীর কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তি‌নি কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধীদল শক্তিশালী থাকুক। তারা বিজয়ী হোক এটা আমরা চাই। সে দায়িত্বটা যদি বিরোধীদল পালন করতে ব্যর্থ হলে তারা তো নির্বাচনে পরাজিত হবে, রাজনীতিতেও তারা পরাজিত হচ্ছে। শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য আমরাও শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। পরাজিত হয়ে বিএনপি হতাশায় ভুগছে।

‌তি‌নি ব‌লেন, তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ না, জনগনকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে? শেখ হাসিনার যোগ্যতা ও দক্ষতার সততার গুণে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, তরুণ প্রজন্ম, নারীরা সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করেছে। যে কারণে আওয়ামী লীগকে জনগণ ভোট দিয়ে বারবার বিজয়ী করে। আওয়ামী লীগের ধারাবাহিকভাবে জয়ী হবে আর বিএনপির ধারাবাহিকভাবে পরা‌জিত হতে থাকবে। এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা আন্দোলন করবে সেই ভরসা কি করা যায়?

শনিবার খালেদা জিয়ার কারাবন্দির দুই বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে এক্ষেত্রে বিএনপি ও খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনীতি কি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রতিককালে রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহমান। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে ধারণ করে তরুণ ও নারীরা সবাই মিলে একই স্টেপের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। শেখ হাসিনার মত একজন আস্থাভাজন সৎ, দক্ষ, নেতৃত্ব এটা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মুক্তিযুদ্ধের দেশে সাম্প্রদায়িক ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার রাজনীতি চলবে না। যতদিন বিএনপি এই সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়বে না, ততদিন আন্দোলন ও রাজনীতি সফল হবে না। নেতিবাচক, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী, উগ্রপন্থীরা আন্দোলন করলে নির্বাচন সফল হবে না।

সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতা অবশ্যই আছে। এটা থেকে উত্তরণের জন্য মহানগরে ওয়ার্ড, থানায় সম্মেলন করে কমিটি করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলর ৯৮ জন, সংরক্ষিত ৩৪ জন, মোট ১৩২ জন। ১৬ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর বড় কোন সংখা নয়।

কাদের বলেন, ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটি দপ্তরে ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর যেসব জেলার যাদের মেয়াদ উত্তীর্ন হয়েছে তাদের এপ্রিলের মধ্যে সম্মেলন শেষ করতে বলা হয়েছে। আগামীকাল বিকাল চারটায় ঢাকা মহানগরের নবনির্বাচিত মেয়র ও ঢাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বসা হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসীম কুমার উকিল প্রমুখ।