যশোরে একের পর এক দোকান চুরি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত

যশোর শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। আর এই চুরির ঘটনায় মামলা নিতে কোতয়ালী থানা পুলিশ অনীহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শহরের সাধারন ব্যবসায়ীরা।

গত এক মাসে কোতয়ালী থানা এলাকায় দশটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। যার একটির মামলা নেয়নি কোতয়ালী থানা পুলিশ। কি কারনে চুরি মামলা নিতে পুলিশের অনীহা তারও কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। অবশ্য পরে কোতয়ালি পুলিশ ইলেকট্রিক কর্নারে চুরির মামলা রেকড করে। বাদি সাইফুল হক। মামলায় আসামি অজ্ঞাত দেখানো হয়।

শহরের এম এম আলী রোডস্থ ইলেকট্রিক কর্ণারে দুসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে দোকান মালিক সাইফুল হক দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে দোকান খুলে দেখেন দোকানের পেছনের দরজা করাত দিয়ে কেটে দুঃসাহসিক চুরি হয়। চোরের নগদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকাসহ ৮লাখ ২০ হাজার ৯শ ৭০ টাকা মুল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।

সাইফুল হক সাপু জানান, চোরের বেছে বেছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯ শ৭০ টাকার মুল্যবান তার নিয়ে যায়।
এর আগে ১৩ জানুয়ারী ইলেকট্রিক কর্ণারের গোডাউন শহরের তসবীর সিনেমা হল ভবনের জানালা ভেঙে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার মুল্যবান মালামাল চুরি করে। এব্যাপারেও কোতয়ালী থানায় সাইফুল হক লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু কোতয়ালী থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারনে এই অভিযোগটি রেকর্ড করেনি।

সাইফুল হক সাপুর অভিযোগ, গোডাউন চুরির মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ আইনী পদক্ষেপ নিলে তার দোকানে দ্বিতীয়বার চুরির ঘটনা ঘটতো না। অবশ্য অনেক চেষ্টা তদবিরের পর ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রিক কর্নারে দ্বিতীয় দফা চুরির ঘটনাটি কোতয়ালি পুলিশ মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চুরির মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এর আগে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড ও সেন্ট্রাল রোডের একটি দোকান, শহরের মনিহার এলাকার একটি মোটর পার্টেসের দোকান, মুড়লী এলাকার একটি দোকানসহ গত এক মাসে শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ একটির ব্যাপারেও কোন অভিযোগ গ্রহন করেনি। পুলিশ এসব দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুরির ঘটনায় মামলা না নেয়ায় একের পর চুরি ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে সাধারন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।

এব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কেন কোতয়ালী থানা পুলিশ মামলা নিচ্ছে না তা দেখা হচ্ছে। ইলেকট্রিক কর্ণারের গোডাউন চুরির মামলাটি রেকর্ড না হওয়াটা দুঃখ জনক।