রিফাত হত্যা মামলায় আরো ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার আরো ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এরমাঝে জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে ৫ জন ও শিশু আদালতের বিচারক ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে দুইজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।

দায়রা আদালতে এসআই ওবায়দুল কবির, এএসআই উন্দ্রজিত কুমার, কনেষ্টবল মোবারক করিম, কামরুল হাচান ও নাজমুল হোসেন। শিশু আদালতে নয়ন বন্ড ও মিন্নির বিয়ের কাজি আনিসুর রহমান ও নয়ন বন্ডের ভাড়াটিয়া আনোয়ারুল কবির যখন সাক্ষ্য দেন তখন জেলা ও দায়রা আদালতে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৯ জন আসামি ও শিশু আদালতে ১৪ জন শিশু আসামী উপস্থিত ছিল। এ পর্যন্ত জেলা ও দায়রা আদালতে ৬০ জন ও শিশু আদালতে ৩০ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হল। সাক্ষ্য মোবারক করিম মিন্নির ব্যবহৃত কামিজ, চিরুণী, ছবি ও ঝিনুক আদালতে সনাক্ত করেন।

দায়রা আদালতে জব্দ তালিকার ৫ জন সাক্ষ্য দেয়। সাক্ষ্য শেষে পুলিশের কনেষ্টবল মোবারক করিম বলেন, রিফাত হত্যার পর আমি তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে নয়ন বন্ডের বাসায় যাই। ওই সময় নয়ন বন্ডের মা সাহিদা বেগম নয়ন বন্ডের শয়ন কক্ষ থেকে মিন্নির ব্যবহৃত কামিজ, চিরুণী, মিন্নির একটি রঙ্গিণ ছবি ও সামদ্রিক একটি ঝিনুক উদ্ধার করে জব্দ করেন। ওই জব্দ তালিকায় আমি স্বাক্ষর করেছি।

আদালতে মিন্নির মালামাল সনাক্ত করেছি। শিশু আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পরে কোর্ট প্রাঙ্গণে সাক্ষ্য নয়ন বন্ড ও মিন্নির বিয়ের কাজি আনিসুর রহমান বলেন, আমি ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর নয়ন বন্ডের বাসায় বসে মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে পড়াই এবং কাবিন রেজিষ্ট্রী করি। এ সময় নয়ন বন্ডের মা উপস্থিত ছিল। বিয়ের পরপরই মিন্নির চাচা সাবেক পৌর কমিশনার আবু সালেহকে আমি জানাই। রিফাত শরীফ খুন হবার পরে শুনি মিন্নি রিফাত শরীফকে আবার বিয়ে করেছে। মিন্নি নয়ন বন্ডকে তালাক দিয়েছে কিনা। তা আমি জানি না।

তবে মিন্নির বাবা কিশোর আমাকে দুইবার ফোন দিয়ে বলেছে নয়ন মিন্নি তোমার কাছে যাবে। তুমি ওদের তালাক দেয়ার ব্যবস্থা করিও। কিন্তু মিন্নি ও নয়ন আমার কাছে আসেনি।

নয়ন বন্ডের বাসার ভাড়াটিয়া আনোয়ারুল কবির বলেন, আমি অটো রিক্সা চালাই। আমরা জানি মিন্নি নয়ন বন্ডের স্ত্রী। রিফাত শরীফ ২৬ জুন খুন হওয়ার আগের দিন সকালেও মিন্নিকে নয়ন বন্ডের বাসায় আসতে দেখেছি। এখন শুনি মিন্নি রিফাত শরীফের স্ত্রী। জেলা ও দায়রা আদালতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা সকলই জব্দ তালিকার সাক্ষ্য। এ কারনে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেননি।

শিশু আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, সাক্ষ্যরা যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাতে কোন শিশু আসামিকে কোপাতে বা মারধর করতে দেখেননি।

রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালতে দুইজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এই সাক্ষ্যরা রিফাত শরীফকে কেহ কোপাতে দেখেনি। তারা শুনেছেন।