যশোরের রূপদিয়ার বন্ধ রেল-স্টেশনটি পূর্ণরায় চালুর দাবী

বৃহত্তর যশোর জেলার অতিসন্নীকটে অবস্থিত নানা ঐতিহ্য বহনকারী রূপদিয়ার। দেশজুড়েও রয়েছে এই এলাকার ব্যাপক পরিচিতি। নানা ঐতিহ্যতার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ষ্টেশনও। প্রায় সকলে এক বাক্যেও চেনেন স্টেশন রূপদিয়া নামে।

কিন্তু এই অঞ্চলের নামডাকটি রেলষ্টেশন টির বদৌলতে বেশ পরিচিতি পেলেও আজ তা পুরোপুরি নিশ্চিন্ন হতে চলেছে। অজ্ঞাত কারনেই অনেক বছর হলো রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দ্বিতল ভবনের রূপদিয়া রেলস্টেশনটি এখন ভুতুঢ়ে বিল্ডিংএ পরিণত হয়েছে।

এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী সহ একাধিক স্থানীয় লোকের সাথে কথা বলে জানাযায় রূপদিয়ার এই ষ্টেশনটিকে ঘিরে নানা কল্পকথা। তারা বলেন, একটা সময় রাত-দিন লোকে লোকারন থাকতো এই ষ্টেশনটি। সর্বক্ষণ প্রাণচাঞ্চল্য ও লোকেলোকায়িত ষ্টেশন’কে ঘিরে যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া হয়ে ওঠে ব্যবসা-বাণিজ্যর কেন্দ্রবৃন্দু। তা ছাড়া আত্মিয়-স্বজনের বাড়ি যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ প্রয়োজনীয় নানা কর্মকাজে দুরদূরান্তে যাতায়াতের একমাত্র নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বহনকে ঘিরে ব্রিটিশ আমলে স্থপিত রূপদিয়া রেল ষ্টেশনটি কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে সর্ব ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে পূণরায় চালুর দাবীতে এলাকার সর্বসাধারণ কয়েক দফা মানববন্ধন সহ কর্মসূচী পালন করলেও রেল কর্তৃপক্ষের কোনো শুভদৃষ্টি না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন। তবে সাধারণ জনগন সরকারের এই সুভিধা থেকে বঞ্চিত হলেও স্টেশন’টি মাদক কারবারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যাবহার কার্য শ্ররু করেছে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে।

জানাগেছে, দির্ঘদিন ধরে ষ্টেশন টিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নুন্যতম কার্যক্রম ও কোনো কর্মি না থাকায় দুষ্টচক্রের নিরাপদ ডেরা হিসাবে ব্যাবহার হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সন্ধ্যার পর থেকে স্টেশনের এরিয়াটি নিস্তব্ধ ও শুনশান হয়ে পড়াই পরিত্যক্ত ষ্টেশন’কে ঘিরে শুরু হয় নানা অপকর্ম। ষ্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে জনমানবহীন এই ষ্টেশনটির দখল নেয় দুষ্টপ্রকৃতির লোকেরা। চালে রাত গভীর পর্যন্ত আড্ডা বাজি, মাদক সেবন সহ অপরাধমূলক তৎপরতা।

এলাকাবাসীর দাবী বন্ধ থাকা রূপদিয়া রেলষ্টেশনটি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তা-ব্যাক্তিরা আমলে নিয়ে পূর্বেরন্যায়ে ফিরিয়ে দিয়ে রূপদিয়ার গর্বকে পূর্ণজীবিত করার।