করোনা মোকাবেলায় চীনকে বাংলাদেশের শুভেচ্ছা উপহার

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে চীনকে ১০ লাখ হাতমোজা, পাঁচ লাখ মাস্ক, এক লাখ ৫০ হাজার ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০ হাজার জুতার কাভার ও আট হাজার গাউন হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কাছে শুভেচ্ছা উপহার হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

চীনকে পাঠানো এসব শুভেচ্ছা উপহার বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বলে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

উপহার পেয়ে চীনের পক্ষ থেকে দেশটির ঢাকার রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিহতে বাংলাদেশ চীনের পাশে ছিল। প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহারের জন্য তাকে চীন সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। চীনের এই কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর অতিদয়ালু মনোভাব ও মহত্বে চীন মনে রাখবে।’

এ সময় লি জিমিং চীনের হুবেই প্রদেশে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে না আনার পরামর্শ দেন। বলেন, ‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীন ভালোভাবে দেখাশোনা করছে। দেশের ঝুঁকির কথা ভেবে তাদের দেশে না ফেরানোই ভালো হবে।’

চীন শিগগির করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে মিলে কাজ করেছি। চীন আমাদের শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা করছে। তারা খাওয়াচ্ছে, কেয়ার করছে। চীনের হুবেই প্রদেশে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছি। কিন্তু তারা বলছেন, তাদের সেখানেই রাখা হোক।’

এ সময় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করে কাজ করা ছাড়াও এই ইস্যুতে বাংলাদেশের সক্ষমতা অর্জনে প্রশংসা করেন মোমেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাস ইস্যুতে সজাগ আছি। আমরা সবাই মিলে এটা প্রতিরোধে কাজ করছি। আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত কারও করোনাভাইরাস হয়নি।’