যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

jessore hospital

যশোর জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালোনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার দুপুর একটা ২০ মিনিটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালোনা করা হয়।

এ সময় আর কোনো দিন হাসপাতালে দালালি না করার শর্তে মনিরুজ্জামান মনি নামে এক ক্লিনিক দালালকে মুচলেখায় মুক্তি ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের দায়ে জিয়ারুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল মালিকের দুশত’টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার শেখ জালাল উদ্দিন জানান, হাসপাতালের প্রথম গেটের গা ঘেঁষেই অবস্থিত লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু করে প্রথম গেট পর্যন্ত তাদের পোষ্য দালালের বিচরণ থাকে। দালাল একজন আরেকজনের হাতে রোগীদের তুলে দেন। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনির সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছে সপর্দ করেন। দুপুর এক টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম আবু নওশাদ মানবিক দিক বিবেচনা করে আর কোনো দিন মনির হাসপাতালে দালালি করবে না এই শর্তে মুচলেখায় মুক্তি দেয়।

এর আগেও ২০১৯ সালের সাত জুলাই ভ্র্যাম্যমান আদালত হাসপাতাল এলাকার লাইফ কেয়ার ডায়গনেস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়। এ সময় আদালত হাসপাতালের টিকিট নিয়ে বিভিন্ন রোগীদের চিকিৎসকদের অপেক্ষা করতে দেখতে পান। এছাড়া ক্লিনিকের পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কোনো কিছু না থাকায় ক্লিনিকের মালিক লাইলি ইয়াসমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন।

অপর দিকে, একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের নওদাগ্রামের জিয়ারুল ইসলামকে হাসপাতালে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের দায়ে দুশত টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।