দাবিকৃত যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্ত্রীকে মারপিট করে আহতের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদি আহত খাদিজা খাতুন (২২) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার চুকনগর গ্রামের মৃত ইসমাইল মোল্লার মেয়ে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তিনি কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছে, আহত খাদিজার স্বামী যশোর সদর উপজেলার শশ্মদাহ গ্রামের মৃত শামছুল আলমের ছেলে বাকি বিল্লাহ (৩৫), বাকি বিল্লাহর ভাই মাসুম বিল্লাহ (৩৭), বাকি বিল্লাহর মা মোছা. ফিরোজা বেগম (৫২)।
আরো খবর
- যশোরের বসুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন
- যশোরের চৌগাছায় করিমন থেকে পড়ে স্কুল ছাত্রী গুরুতর
- রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবিতে অভয়নগরে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
- যশোরে অতিরিক্ত গ্যাসের ঔষধ সেবনে গৃহবধূর মৃত্যু
- যশোরে জমিজমা নিয়ে বিরোধে মা-মেয়েকে মারপিট
- যশোরে চোলাইমদসহ সেবনকারী গ্রেফতার
বাদি মামলায় উল্লেখ করেছেন, আড়াই বছর আগে বাকি বিল্লাহর সাথে খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে গাফ্ফার নামে ১৪ মাস বয়সি একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর আসবাব পত্র ও সংসারের মালামাল ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন সময় পিতার বাড়ি থেকে আমি বাকি বিল্লাহকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এনে দিই। এরপরও বাকি বিল্লাহ অন্যান্য আসামিদের পরামর্শে আমার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমি আমার মা বাবা ভাই বোনের কাছে ২ লাখ যৌতুকের কথা জানালে তারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামি আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে। আসামি বাকি বিল্লাহ চাহিদা মতো যৌতুকের টাকা না পেয়ে ক্রমেই আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আসামি বাকি বিল্লাহ মা বাব ভাই বোনের সাথে আমাকে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে দেয় না। বলে যৌতুকের টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে না দিলে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে যৌতুকের দাবিতে আসামি বাকি বিল্লাহ শয়ন কক্ষে আমাকে মারপিট করে জখম করে ঘরে আটকিয়ে রাখে। কারো সাথে যোগাযোগ করতে দেয় না। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে কৌশলে আমি আমার মাকে ফোন করে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে আটকিয়ে রাখার কথা জানালে, তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
এঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।