বাতিল হতে পারে টোকিও অলিম্পিক

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় শেষ পর্যন্ত বাতিল হতে পারে টোকিও অলিম্পিক। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মাসদুয়েক আগে চীনের উহানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে অসুস্থ হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন আড়াই হাজারের বেশি।

চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত ২৬টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার ১৫২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং ৮ জন মারা গেছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাতিল হয়ে যেতে পারে আগামী জুলাইয়ে জাপানের টোকিওতে হতে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিকও। অলিম্পিক আয়োজক দেশ জাপানে এই সংক্রমণে এ পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছেন বলে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মাধ্যমে খবর এসেছে। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে, কিংবা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে বাতিল হবে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট।

পিছিয়ে দেয়া বা টোকিও থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়ার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি)। গতকাল আইওসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডিক পাউন্ড বলেন, ‘যদি এই রোগটি এতটাই বিপজ্জনক থাকে, তাহলে অলিম্পিক সরাসরি বাতিলই করতে হবে। কারণ, এটা আয়োজনের জন্য অনেক কিছু আমাদের পক্ষে যেতে হবে। অ্যাথলেটদের নিরাপত্তা, স্পোর্টস ভিলেজ, খাবার-দাবার, হোটেল, সাংবাদিক বন্ধুদের নিরাপত্তা। এসব ঠিক না হলে বাতিলই করতে হবে। কিছুদিন পরই আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। যদি সব ঠিকঠাক ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়, তাহলেই শুধু খেলা হবে, নইলে নয়। এটা পিছিয়ে দেয়া বা স্থানান্তরের কোনো সুযোগ নেই।’

সাবেক কানাডীয় সাঁতারু ডিক পাউন্ড ১৯৭৮ সাল থেকে আইওসির সঙ্গে জড়িত। তিনি অবশ্য এখনই সব আশা ছাড়তে রাজি নন। অ্যাথলেটদেরও অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাউন্ড। জানিয়েছেন, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে আগামী মে মাসের শেষে। আগামী ২৪শে জুলাই শুরু হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করার কথা ২০০ দেশের প্রায় ১১ হাজার অ্যাথলেটের। সারা বিশ্ব থেকে টোকিও যাবেন লাখ লাখ দর্শক। তবে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তাটা চীনকে নিয়েই। কারণ আসরে সবচেয়ে বেশি অ্যাথলেট অংশ নেয়ার কথা চীন থেকেই।