যশোর শহরতলীর হামিদপুর এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ছিনতাইকারিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
সদর উপজেলার বাউলিয়া গ্রামের ওয়াজেদ আলী মোল্লার ছেলে ওয়াহেদ আলী (৪৩) শুক্রবার সকালে বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আসামিরা হচ্ছে, শহরের বারান্দিপাড়া মাঠপাড়া বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত ইউনুচ আলীর ছেলে বলু গাজি (২৮), এলাকার সাইদের ছেলে সজিব (২২) ও বাবুলের ছেলে বিল্লাল (২২)। এদের মধ্যে বলু গাজিকে পুলিশ আটক করে।
ওয়াহেদ আলী মামলায় উল্লেখ করেছেন, তিনি ওয়ার্কসপ মিস্ত্রি। শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ায় নিউ তহিদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৃহস্পতিবার কাজ শেষে তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে যশোর-নড়াইল সড়কের হামিদপুর নুড়িতলা ব্রীজের উপর পৌছুলে আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি হুয়াউই মোবাইল মূল্য আনুমানিক ৭ হাজার ২শ টাকা ও নগদ ৭শ ৬০ টাকা ছিনিযে নেয়। বিষয়টি বাউলিয়া বাজারের স্থানীয় লোকজনকে জানানো হয়। তাদের সাথে নিয়ে আসামিদের ধরার জন্য নুড়িতলা ব্রিজের উপর পৌছুলে আসামিরা টের পেয়ে মাঠের ভিতর দিয়ে দৌড়ে পালায়। এসময় আমাদের চিৎকারে গ্রামবাসিদের সহযোগিতায় চাদপাড়া মাঠের ভিতর থেকে এক নং আসামি বলু গাজিকে আটক করে গনপিটুনি দেয়া হয়। এতে আসামি বলু গাজি আহত হয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশ আসামিকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। আসামির কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আহত আসামিকে চিকিতসার জন্য ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় শুক্রবার সকালে কোতয়ালি থানায় মামলা করা হয়।