যশোরের অভয়নগর উপজেলার তালতলায় রিপন শেখ (২৪) নামের একজন দিনমজুরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে পুলিশ নিহতর লাশ উপজেলার একতারপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করেছে।
নিহতের পিতা শুকুর আলী শেখ জানান- তার বৌমার পরকীয়ার কারণে বৌমা শাহানাজ বেগম, খালা শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম ও প্রেমিক ইব্রাহিম হোসেন মিলে আমার ছেলে রিপন শেখকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, এর পূর্বেও একবার মারার জন্য মস্তান দিয়ে হুমকি দিচ্ছিলো। পরে এলাকার লোকজনের সাথে নিয়ে তা মিটিয়ে ফেলেছিলাম। এর পর থেকে কাজের সন্ধানে নওয়াপাড়া সহ তালতলায় শ্বশুর বাড়ী আসা যাওয়া করতেন। কাল(বৃহস্পতিবার)রাতে তালতলা শ্বশুর বাড়ীতে ছিলো। সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে কাজের সন্ধানে বাজারে আসলে আমার এক ভাই বলেন তোর ছেলে ট্রেন দূর্ঘটনায় মারা গেছে। পরে আমি তালতলায় ছুটে আসি এবং আমার ছেলেকে খুজতে থাকি। অনেক খোজা খুজির পরে আমার ছেলের লাস একতারপুরে এসে পাই।
নিহতের স্ত্রী শাহানাজ বেগম বলেন, সকালে আমার স্বামী রেললাইনের পাশ দিয়ে হাটাহাটির করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।
নিহতের লাশ রেললাইন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, জিআরপি মামলা এড়াতে নওয়াপাড়া পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর রাশিদা বেগম ও ব্যবসায়ী রফিকের নির্দেশে ভ্যানযোগে মো. রবি লাশটিকে দূরের ওই স্থানে নিয়ে ফেলে দেয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলর রাশিদা বেগম বলেন, রেল পুলিশের মামলা এড়াতে নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকদের এবং রফিকের পরামর্শে লাশটিকে পাশে রাখতে বলেছি। কিন্তু মো. রবি ভ্যানযোগে দুই কিলোমিটার দূরের একটি বাগানে লাশটি কেন ফেলল তা আমার জানা নেই।
খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল খ) আবু নাসের ঘটনাস্থল পরিদর্শণে আসলে স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রাশিদা বেগম ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে স্টকে পড়েন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাটি সম্পর্কে বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে লাশটিকে কেন সরানো হলো? সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়না তদন্তের পর তা সঠিক ভাবে জানা যাবে। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে (জিআরপি)রেল পুলিশের তারা ঘটনাটি তদন্ত করবেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় এসে মামলা দিলে মামলা নেয়া হবে এবং ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।