বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি, তাই চিন্তাটাও বেশি: জেমি ডে

প্রায় দুই বছর হলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। কোচিং সূত্রে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় গিয়েছেন। তাই ফুটবলের প্রতি এখানকার মানুষের আলাদা টানটা নিজের চোখে দেখেছেন, উপলব্ধিও করেন খুব। এর ফলে একজন কোচ হিসেবে অনেকের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি করতে পেরেছেন।

খেলোয়াড়দের পাশাপাশি একজন কোচ হিসেবে এখন তার মর্যাদা ‘তারকার’ মতো। এত ভালোবাসা যে দেশটির মানুষ দিয়েছে, তাদের প্রতি আলাদা টান না থেকে পারেই না। তাই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেক আগেই বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে নিজের উদ্বেগের বিষয়টি প্রকাশ করেছিলেন। এবার তো সরাসরি বলেই দিলেন, বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় বাড়ি। তাই এই দেশের মানুষদের নিয়ে তার চিন্তাটা একটু বেশি!

জেমি ডের অধীনে বাংলাদেশ খারাপ করছে না। যদিও সাফ কিংবা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠতে পারেনি। তার পরেও জীবন-সাদদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে আশাজাগানিয়া। তার কোচিং ক্যারিয়ারে বাংলাদেশই প্রথম বড় কোনও প্ল্যাটফর্ম, প্রথম কোনও জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া।

করোনার দিনগুলিতে এখন ইংল্যান্ডে থাকলেও, জেমি ডের ভাবনায় আছে বাংলাদেশ। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জানালেন, প্রেমে পড়ে গেছেন এই দেশটির। এই মহামারীতে ভাবছেন বাংলাদেশের মানুষদের নিয়েও, ‘সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস সমস্যা প্রকট। আমার দেশ ইংল্যান্ডেও এই সমস্যা কম নয়। একজন ইংলিশ হিসেবে আমি দেশ নিয়ে বেশি চিন্তিত। এরপরেই বাংলাদেশকে নিয়ে। কেননা এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এই দেশের মানুষদের নিয়ে আমি চিন্তিত বলতে পারেন। আমি চাই সবাই দ্রুত এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাক।’

ইংল্যান্ডে কেন্টে চার ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ডে। সেখানেও সবাই ঘরবন্দি। শুধুমাত্র খাবার কিনতে ও একবেলা ব্যায়াম করতে বাইরে যাওয়ার অনুমতি আছে। তবে জমায়েত নিষিদ্ধ। ডে তাই খুব সাবধানী, ‘আমাদের এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো। কিন্তু তারপরেও এই ভাইরাস থেকে সবাই দূরে থাকতে চাইছে। তাই তো ঘর থেকে বের হচ্ছি না। ঢাকা থেকে এসে তো কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে। আসলে এই ভাইরাস থেকে কখন কার কী হয়, এটা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি।’

ইংল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩০১ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ২১ জন। তবে তার শহর কেন্টে এখন পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি এই রোগে। ডে তাই কিছুটা স্বস্তিতে, ‘ইংল্যান্ডের অনেক জায়গায় অনেকে আক্রান্ত হলেও আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত হয়নি। এটা ভালো দিক। তবে সবাই সাবধানেই আছি, সতর্কতা মেনে চলছি। আমি মনে করি বাংলাদেশেও সতর্কতা মেনে চলা উচিত। তাহলেই সবাই সুস্থ থাকবে।’