যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে নারীর মৃৃৃৃত্যু

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় সেলিনা বেগম(৩০) নামে এক নারী মারা গেছেন। তার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানো হলেও এখনো ফলাফল এসে পৌঁছায়নি।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, গত ২৯ মে সেলিনা বেগম হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি স্ট্রোকে, শারিরিক দূর্বালতা ও সন্ধেহ জনক করোনা উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।

আজ শনিবার রাত সাড়ে ৯ টায় ইন্টার্ণ ডাক্তার আরাফাত ও রুবেল সেলিনাকে মৃৃৃৃত ঘোষনা করে৷ কিন্তু করোনা পরীক্ষার ফল ২/৩ দিন পরে রিপোর্ট এসে পৌছাতে সময় লাগবে বলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আরিফ আহম্মেদ৷

মৃত সেলিনার যশোর শহরের নীলগন্জ এলাকার মিল্টন শিকদারের স্ত্রী৷ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান আরএমও ডা. আরিফ।

তিনি জানান, সতর্কতার সঙ্গে মরদেহ দাফনের জন্য ওই নারীর স্বজনদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হলো।

নিহতের স্বামী মিল্টন শিকদার জানান, সেলিনা প্রায় ১ বছর যাবত থায়রয়েড রোগে ভূগছিলো৷ গত ২৯মে আবার সমস্যা হলে তাকে হাসপাতালে এনেছিলাম তার ব্রেন ষ্টোক করে হাত পা পড়ে যায় সেই সাথে সন্ধেহ জনক করোনা রোগের সমস্যা ছিলো। আজ রাতে তার মৃৃত্যু হয়৷ এখন লাশ আমরা নিয়ে যাচ্ছি৷ পারিবারিক ভাবে দাফন করবো৷