যশোর শহরের ষ্টেডিয়ামপাড়ায় নির্মাণ শ্রমিক আল মামুন (১৯) হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামুন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ বিপ্লব নামে একজনকে আটক করেছে। আটক বিপ্লবের বাড়ি ষ্টেডিয়ামপাড়া এলাকায় বলে জানা গেছে।
নিহত মামুনের পিতা মামুন খড়কী স্টেডিয়ামপাড়ার বুলুর বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল বাশার বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় শনিবার (৩০ মে) বিকেলে মামলা করেন। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হচ্ছে খড়কী হাজাম পাড়ার রকিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির, আরবপুর এলাকার ব্লাক সিয়াম, মাহিন, খোলাডাঙ্গার জয়, মিশু, ষ্টেডিয়াম পাড়ার রফিক, রসুল, তাসিম, হৃদয়, বক্কার, আরিফসহ কয়েকজন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্টেডিয়ামের গেটের সামনে বটগাছের নিচে তিনি, নিহত মামুন ও আরেক বন্ধু সাজিম বসে ছিলেন। এ সময় স্টেডিয়ামপাড়া ও আরবপুর এলাকার বেশ কয়েকজন সেখানে যায়। কথা আছে বলে তারা স্টেডিয়ামের মধ্যে মামুনকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা স্টেডিয়ামের গেট টপকিয়ে ভেতরে ঢোকে। সে সময় তাদের প্রতিপক্ষ খড়কী হাজাম পাড়ার রকিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির, আরবপুর এলাকার ব্লাক সিয়াম, মাহিন, খোলাডাঙ্গার জয়, মিশু, এমএম কলেজপাড়ার রফিক, রসুল, তাসিম, হৃদয়, বক্কার, আরিফসহ ১৮/২০ জন ছিল। তারা সেখানে নিয়ে গিয়ে বলে ‘এমএম কলেজের ছাত্রলীগের নেতা তৌহিদুর রহমান ও আরবপুর এলাকার যুবলীগ নেতা সাইদুজ্জামান বাবু ভাইয়ে নামে কী বলেছিস তাদের নামে কথা বলতে হলে সম্মান দিতে হবে।’ এই নিয়ে কথাকাটকাটি হয়। পরে স্টেডিয়াম থেকে সবাই বের হয়ে খড়কী কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির পাশে বটতলায় যায়। সেখানে গিয়ে ফের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে মামুনকে কিল, ঘুষি, লাথি, চড়, থাপ্পড় মারতে থাকে। এ সময় সাব্বির মামুনকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে মামুনের মৃত্যু হয়।
এদিকে মামুন হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার ২৯ মে ঘটনার রাতে পুলিশ স্টেডিয়ামপাড়া থেকে বিপ্লব নামে একজনকে আটক করে।