যশোরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে মারপিট করে হত্যার অভিযোগে মামলা

যশোর শহরের বারান্দিপাড়া কদমতলায় যৌতুকের দাবিতে লিনা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধুকে মারপিট করে হত্যার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

নিহত গৃহবধুর পিতা সদর উপজেলার নিমতলী গ্রামের মৃত আকবর ডাক্তারের ছেলে মোশারেফ হোসেন বাদি হয়ে রোববার ৩১ মে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হচ্ছে শহরের বারান্দিপাড়া কদমতলার মৃত মাসুদ আলী খানের ছেলে টগর হোসেন (৪৭), খোকন (৪৫), সাজু (৪২) ও মামুন খান বাবু (৪০)। এঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি টগর হোসেনের সাথে লিনার ১৬/১৭ আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে আসামি খোকন, সাজু ও মামুন খান বাবুর কুপরামর্শে ও ইন্ধনে আসামি টগর হোসেন ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে লিনাকে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। মেয়ে লিনা বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা মেয়ে ও তার সন্তানের কথা চিন্তা করে আসামি টগরকে বিভিন্ন সময় নগদ ৫ লাখ ও ৩ লাখ টাকার সাংসারিক বিভিন্ন মালামাল প্রদান করি। এরপরও আসামিরা ক্ষ্যন্ত হয় না। তারা যৌতুকের আরো টাকার জন্য আমার মেয়েকে মারপিট করতে থাকে। ২৫ মে সন্ধ্যায় আমার মেয়ে বাড়িতে সাংসারিক কাজ করা সময় আসামি টগর আমাদের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। অপারগতা প্রকাশ করলে আসামিরা লিনাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে। আসামি টগর হত্যার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলের লোহার তালা দিয়ে লিনার মাথার পিছনে গুরুত্বর আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। লিনা পড়ে গেলে টগর লোহার শিকল তার গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। লিনার গোংরানিতে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আড়াইশ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভতি করে। লিনার শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে প্রথমে খুলনার গাজি মেডিকেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হলে ২৯ মে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার লিনাকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় লিনার পিতা মোশারেফ হোসেন বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায মামলা করলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার মামলা আমি হাতে পেয়েছি। আসামি ধরার জন্য শীঘ্রই অভিযান চালাবো।