বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচন : আইন বিশ্লেষণ করছে ইসি

বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন কবে শেষ করবে সে বিষয়ে আইনি বিশ্লেষণে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। কারণ এ দুটি সংসদীয় আসনে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে বুধবার (২৪ জুন) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার কমিশন সভা করেছেন। সভায় ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার প্রযোজনীয় তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ১৫ জুলাই বগুড়া-১ এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে।

‘আমরা কমিশন সভায় এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছি। বুধবারের সভায় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। নির্বাচন করতে হবে অথবা পেছানোর জন্য উপযুক্ত ব্যাখ্যা থাকবে-সব কিছু বিবেচনা করে আইনের মধ্যে থেকে কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে। একটা পথ খুঁজে বের করবে ইসি’ বলেন তিনি।

আরও পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কমিশন আলোচনা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে সিদ্ধান্ত দেবে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে উল্লেখ করেন ইসির এ কর্মকর্তা।

করোনা সংক্রমণ মহামারির মধ্যে এপ্রিল-মে মাসে শূন্য হওয়া পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫ উপনির্বাচন ৯০ দিনের মধ্যে সম্ভব হবে না উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি সচিবালয়।

এরইমধ্যে জুনের শুরুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসনও শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ১৮ জানুয়ারি সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন ফাঁকা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, মহামারির মধ্যে আপাতত ভোট না করার কথা বলা হলেও অনির্দিষ্টকাল তা বন্ধ থাকতে পারবে না কিংবা সংসদীয় আসনও শূন্য রাখা যাবে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে যেমন সংসদের অধিবেশন বসতে হয়েছে তেমনি ভোট করার বিষয়টিও দেখতে হবে।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে- সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।

তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।