অনুতপ্ত সাকিব

ভারতীয় জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার জন্য গত অক্টোবরে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান, যার মধ্যে এক বছরের শাস্তি স্থগিত। নিষেধাজ্ঞার শাস্তি শেষে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর সবধরনের ক্রিকেট কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন তিনি।

নিষেধাজ্ঞার ৮ মাস পর বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, জুয়াড়ির সঙ্গে কথোপকথনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেননি তিনি। যেটি তার সবচেয়ে বড় ভুল, এমন ভুল করার উচিৎ হয়নি এবং সে জন্য তিনি অনুতপ্ত।

সাকিব বলেন,‌ আমার মনে হয়, আমি এটা একটু বেশিই হালকাভাবে নিয়েছিলাম। আমি যখন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলাম এবং বললাম, তারা সবকিছু জানে, সব প্রমাণ দিলাম, ভেতরে-বাইরের সবকিছু তারা খুঁটিনাটি সব জানে। সত্য কথা বলতে, মূলত এই কারণেই মাত্র ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছি। না হলে ৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতাম।

সাকিব আইসিসির দুর্নীতি দমনের অনেক ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন। তারপরও বার বার প্রস্তাব পেয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাননি। এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়, বোকার মতো ভুল করেছিলাম। কারণ, যে অভিজ্ঞতা আমার আছে, যে পরিমাণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আমি খেলেছি এবং দুর্নীতি দমন ধারা নিয়ে যতগুলো ক্লাস করেছি, আমার ওই ভুল করা উচিত হয়নি। সেটা নিয়ে আমি অনুতপ্ত।’

প্রস্তাবের বিষয়টি না জানানো বিষয় তিনি বলেন, আমরা হাজারও ফোনকল পাই, ম্যাসেজ পাই, কয়টা আর মনে থাকে? একটা উদাহরণ আমি দিতে পারি, ওই লোকটি যখন শেষবার ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল, আমি জবাব দিয়েছিলাম, ‘সরি, কার সঙ্গে কথা বলছি?’ তার মানে, আমার মনেও ছিল না, কার সঙ্গে কথা বলছি। তার সঙ্গে প্রথম কথা হয়েছে ২-৩ বছর আগে, ওই সময় আমি জানতামও না লোকটা কে।

সাকিব বলেন, তবে সত্য, কারও উচিত নয় এসব হালকাভাবে নেওয়া। ওই ধরনের ম্যাসেজ বা কল কারও হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। নিরাপদে থাকতে হলে দুর্নীতি দমন কর্তাদের জানানো উচিত। নৈতিকতার দিক থেকে ভুল না হলেও আইন বা নিয়মের দিক থেকে ভুল হয়েছে। আমি কখনোই ভাবতে পারিনি যে এমন ভুল করতে পারি।