এসএসসি ও সমমানের পুনঃনিরীক্ষণের ফল কাল

করোনার মাঝেও যথাসময়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার খাতা পুনঃমূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে আবেদকারীদের উত্তরপত্রের নম্বর পুনরায় গণনার কাজ শেষ। আগামীকাল ৩০ জুন পুনঃনিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

সোমবার বিকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল বলেন, ‘আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় যারা পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন তাদের ফলাফল আগামীকাল প্রকাশ করা হবে। করোনার মধ্যেও শত প্রতিকূলতার মাঝে আমরা এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছি। পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলও দিতে যাচ্ছি।’

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, খাতা পরিবর্তিত নম্বর, গ্রেডসহ ফল আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।

চলতি বছরের ৩১ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর হয় ১ জুন শুরু হয় পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন কার্যক্রম, যা ৭ জুন শেষ হয়। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ১১ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৪৭১ পরীক্ষার্থী তার কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে মোট চার লাখ ৮১ হাজার ২২২টি বিষয়ে ফল পরিবর্তনের প্রত্যাশায় আপত্তি জানিয়ে আবেদন করে।

এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে এক লাখ ৪৬ হাজার ২৬০, বরিশালে ২৩ হাজার ৮৫০, চট্টগ্রামে ৫২ হাজার ২৪৬, দিনাজপুরে ৪০ হাজার ৭৫, রাজশাহীতে ৪৪ হাজার ৬১, সিলেটে ২৩ হাজার ৭৯০, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৯ হাজার ৩০৩, ময়মনসিংহে ৩১ হাজার ৩৩১, মাদ্রাসা বোর্ডে ২৮ হাজার ৪৮৪ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৭ হাজার ৫৩৮টি বিষয়ে খাতা পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করেছে। যার মধ্যে ঢাকা বোর্ডে আবেদনের সংখ্যা সব চাইতে বেশি।

আরও জানা গেছে, এ বছর এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলে রেকর্ডসংখ্যক পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন আসে। ফলে সারাদেশে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৪৭১ একজন শিক্ষার্থী ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এ কারণে বিভিন্ন বিষয়ের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের জন্য বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে মোট চার লাখ ৮১ হাজার ২২২টি বিষয়ের ফলে আপত্তি তুলে আবেদন করে। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করেছে বিধায় এর পরিমাণ বেড়েছে। গত বছর আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৮ জন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করেছেন। অনেকে হয়তো শুধুই আগ্রহের জন্য আবেদন করেছেন। করোনার মাঝেও পুনঃনিরীক্ষার এই কাজগুলো করতে আমাদের সবাই প্রচুর শ্রম দিয়েছেন। ফলে যথাসময়ে পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে যাচ্ছি।’