যে কারণে আড়ালে চলে গেলেন সবার প্রিয় হাসান মাসুদ

কথা বললেই হাসি লেগে থাকে মুখে। সেই হাসি ছোঁয়াচের মতো দর্শককে সংক্রমিত করে। আনন্দ দেয়। দর্শক তাকে টিভি পর্দায় দেখলেই বিনোদিত হন। তিনি সবার প্রিয় অভিনেতা হাসান মাসুদ। দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয়ের আঙিনায় তার সফল পদচারণা।

এ অভিনেতার অনেক গুণ, অনেক পরিচয়। একজন সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত তিনি। গায়ক হিসেবেও সমাদৃত। পেশায় ছিলেন সামরিক কর্মকর্তা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে অভিনয়ের জাদু দেখিয়ে তিনি দর্শকের প্রিয় হাসান মাসুদ।

আফসোসের বিষয় হলো, দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয়ে নেই তিনি। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় আড়ালে চলে যান তিনি। সেও প্রায় চার বছর হতে চললো। কিন্তু কেন? কোন অভিমান মনে নিয়ে নিজেকে আড়ালে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি? একেবারেই কি ছেড়ে দিয়েছেন শোবিজ?

সেই সব প্রশ্নের খোঁজে নেমে জানা গেল, শোবিজ ত্যাগ করেননি চিরতরে। তবে অভিমান নিয়ে সরে আছেন। ‘অনেকটা সময় তো কাজ করেছি। আর কত! অভিনয় যে আর করবো না, তা কিন্তু না। অভিমান আছে কিছু। সে অনেক কথা! সবকিছু বলতে চাই না। যখন দেখলাম আগের মতো কাজ করে আরাম পাচ্ছি না তখনই সরে এসেছি’- যোগ করেন এই অভিনেতা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। একই রুটিন। প্রায় একই রকম চরিত্র-সংলাপ। কাজগুলো খুব একটা উপভোগ করছিলাম না। যে কারণে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে। ভালো চিত্রনাট্য পেলে আবারও অভিনয়ে নিয়মিত হবো।’

ভালো কিছু কাজের প্রস্তাবও তিনি পেয়েছেন বলে জানান। করোনা পরিস্থিতির আগেই নতুন করে কাজে ফেরার কথা ছিল হাসান মাসুদের। কলকাতার একটি সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধও হয়েছিলেন। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য সব আটকে গেল।

বর্তমানে কী করছেন, কীভাবেই বা কাটে সময়? সেই প্রশ্নের জবাবে হাসান মাসুদ জানান, রাজধানীর নিকেতনে নিজ বাসায় পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। বেশ ভালোই সময় কাটছে তার। স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে তার সুখের সংসার। তবে উচ্চ শিক্ষা নিতে ছেলে মাস কয়েক আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। সেজন্য মাঝে মধ্যে ছেলের বিরহে মন খারাপ হয়। তবুও নিজেই নিজের মনকে বুঝিয়ে রাখেন। মন ভালো রাখতে বই পড়া ও লেখালেখিতে মগ্ন থাকেন।