জনবসতিপূর্ণ এলাকার কোরবানি পশুর হাট বাতিল: ডিএনসিসি মেয়র

atikur
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য জনবসতিপূর্ণ সব এলাকার অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) সরে আসছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রান্তিক ব্যবসায়ী ও মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগের কথা বিবেচনায় রেখে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকায় কিছু হাট বসবে এবং এর বাইরের অন্যান্য হাট বাতিল করা হবে।

বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো মেয়র আতিকুল ইসলামের এক ভিডিও বার্তায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

আতিকুল ইসলাম বলেন- আফতাব নগর, তেজগাঁও, উত্তরা (১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেক্টর), মিরপুর ভাষানটেক, মিরপুর ৬ নম্বর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের হাট বন্ধ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর গাবতলী স্থায়ী হাট, বছিলা হাট, উত্তরা ১৭ নম্বরের খালি জায়গা, ডুমনি ও উত্তরখান মৈনারটেক, ভাটারা সাইদনগর এলাকায় হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ঘুরে ঘুরে আমরা হাটের স্থান চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, আমরা করোনাকালে সার্বিক দিক বিবেচনা করে পশুর হাটগুলো পরিচালনা করতে পারব। তবে এক্ষেত্রে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি বলেন, কোরবানি পশুর হাটগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হবে। একই সঙ্গে হাট ইজারাদারদের শর্তের মধ্যে এসব বিষয় নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রত্যেক হাটে একেকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, যারা হাটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

মেয়র আরও বলেন, করোনার পাশাপাশি এখন এডিস বাহিত ডেঙ্গুর মশারও মৌসুম। এ কারণে আমরা গরুর হাটের কারণে ডেঙ্গু মশার যেন উপদ্রব না হয়, সেদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখব।

কোরবানির হাট ও পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা এবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব আবর্জনা পরিষ্কার করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করার বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।