স্বাধীনতা দিবসে ট্রাম্পের বর্ণবাদী বক্তব্য ‘শ্বেতাঙ্গই সেরা’

নিজেকে যেন সবসময় সমালোচনার খোলসেই আবদ্ধ রাখতে ভালোবাসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দেশটির ২৪৪তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে শোনা গেল সেই ‘বিভাজনের নীতি’; বললেন– ‘শ্বেতাঙ্গই সেরা।’খবর বিবিসি, আলজাজিরা ও রয়টার্সের।

মাউন্ট রাশমোরের পাদদেশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাস মুছে ফেলতে আন্দোলন (ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস) চালাচ্ছেন অনেকে। দেশনায়কদের অমর্যাদা করছেন, ছোটদের ভুল শিক্ষা দিচ্ছেন। আমাদের পূর্ব পুরুষদের দিয়ে যাওয়া আশীর্বাদ আজ বিপদের মুখে।’

দশকের পর দশক ধরে সম্প্রীতির গানই শোনা গেছে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টদের মুখে। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘শ্বেতাঙ্গই সেরা।’
বরাবরই এ ধরনের অসাংবিধানিক কথা বলার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। দেশের ভালোর চেয়ে রাজনৈতিকভাবে তার কাছে যা ভালো মনে করছেন, তাই করে আসছেন তিনি।

দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা-সংক্রমণ ও লাখো মানুষের মৃত্যুতে এমনিতে রাজনৈতিকভাবে বিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প। সামনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সঙ্গে যোগ হয় গত ২৫ মের মিনেসোটার ঘটনা।

জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনকে হাঁটুর চাপে শ্বাসরোধ করে খুন করেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার। এর পর দেশজুড়ে শুরু হয় বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত ট্রাম্প তবু অদম্য।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য তিনি মাউন্ট রাশমোরকে বেছে নেয়ার সময়েই প্রশ্ন উঠেছিল। সাউথ ডাকোটার ব্ল্যাক হিল আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের জন্য পবিত্র স্থান।

এই কালো পাহাড়কে একসময় জবরদখল করে মার্কিন সরকার। ওই অঞ্চলে থাকা অন্তত ৬০টি গোত্রের মানুষকে হত্যার কলঙ্ক রয়েছে তাদের গায়ে। পাহাড়ের গায়ে খোদাই করে গড়ে তোলা হয় ‘ঔপনিবেশিকতার প্রতীক’ চার শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্টের মুখ।

জর্জ ওয়াশিংটন, টমাস জেফারসন, অ্যাব্রাহাম লিংকন ও থিয়োডোর রুশভেল্ট। এমন একটি জায়গাকে বেছে নেয়ার উদ্দেশ্য কী? দেশবাসীর একাংশের মতে, ‘এটিই হলো বিভাজনের নীতি’।