অধিনায়কত্ব করাটাকে সৌভাগ্য মনে করেন মারিয়া মান্ডা

মারিয়া মান্ডা দেশের নারী ফুটবলের উজ্জ্বল মুখ। জাতীয় দল কিংবা বয়সভিত্তিক দল-মারিয়া মান্ডা মাঝমাঠের চালিকাশক্তি। অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দলের অধিনায়কও তিনি।

দুটি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা ময়মনসিংহের এ কিশোরী বলেছেন, ‘মাঠে নেতৃত্ব দিতে পারাটা অবশ্যই সৌভাগ্যের। এ দায়িত্ব আমাকে আরো ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করে।’

বাফুফে ও ক্লাবের ক্যাম্প বন্ধ হওয়ার পর থেকে বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন নারী ফুটবলাররা। তবে এখন পুরোপুরি অলস সময় কাটানোর সুযোগ নেই। বাফুফে তাদের ক্যাম্পের প্রত্যেক মেয়েকে বাড়িতে বসেই নিয়মিত শরীরচর্চা ও মাঝে মধ্যে মাঠে গিয়ে অনুশীলনের নির্দেশনা দিয়েছে।

নারী ফুটবলারদের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে মেয়েদের প্রতিদিন নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং কে কি করছেন তা পর্যবেক্ষণ করছেন।

কোচের গাইডলাইন অনুসারে ফিটনেস ঠিক রাখার কাজগুলোর পর মারিয়া মান্ডা বাসায় তার মাকেও নানা কাজে সহযোগিতা করছেন। অবসর সময়ে গান শুনছেন।

ফিটনেস ধরে রাখা প্রসঙ্গে এ প্লে-মেকার বলেন, ‘আমাদের শিডিউল দিয়ে দেয়া হয়েছে। স্যারের (ছোটন) নির্দেশনা অনুসারেই অনুশীলন করছি। এক বেলা মাঠে যাচ্ছি, আর বাড়িতে শরীরচর্চা করছি।’

কিশোরী দলের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমাদের লিগটা নিয়মিত হলে অনেকের উপকার হবে। আমরা পরিবারকে আর্থিকভাবে আরো সাপোর্ট দিতে পারব।’

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল এএফসি কাপ বাছাইয়ের চূড়ান্ত পর্ব খেলেছে দুইবার। যা ছিল অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপের বাছাই পর্বও। মারিয়া মান্ডা প্রত্যাশা করছেন তারা আগামীতে আরো খেলবেন।