মনিরামপুরে ত্রানের চাল চুরির সাথে জড়িত কুদ্দুসের আদালতে স্বীকারোক্তি

যশোরের মনিরামপুরে সরকারি ত্রানের চাল চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ডিবি পুলিশের হাতে আটক আব্দুল কুদ্দুস আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দিয়েছে। আটক কুদ্দুস মনিরামপুর উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের আকবর মোড়লের ছেলে। কুদ্দুসসহ এ মামলায় মোট ৫ আসামিকে আটক করলো ডিবি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১২ জুলাই রোববার দিবাগত গভীর রাতে মনিরামপুরের বাড়ি থেকে কুদ্দুসকে আটক করা হয়। সোমবার কুদ্দুসকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহাদী হাসানের আদলতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দিতে সে সরকারি ত্রানের চাল চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অন্যান্য আসামিদের নাম বলে। মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ মামলায় কুদ্দুসসহ মোট ৫ আসামিকে আটক করা হলো।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার বিজয়রামপুর বেলতলা জনৈক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভাই ভাই রাইস মিল এন্ড চাতালে ট্রাক থেকে সরকারি ত্রানের চাল আনলোড করছিলো। এসময় মনিরামপুর থানা পুলিশ গোপনে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। মামলার বাদি এস আই তপন কুমার সিংহ সংগীয় ফোর্সের সহযোগিতায় মিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রাকের চালক ফরিদ হাওলাদারকে আটক করে। আটক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে ও ফরিদ হাওলাদার খুলনা কে এম পি দৌলতপুর থানার সাহেব পাড়ার রতন হাওলাদারের ছেলে। এ সময় জব্দ করা হয় ৫ শ ৪৯ বস্তা সরকারি ত্রানের চাল। এছাড়া আটক অন্য দুজন হলো শহিদুল ইমলাম ও জগদিশ দাস। শহিদুল ইসলামকে ৯ মে ও জগদিশকে ২৭ জুন আটক করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকতা ওসি মারুফ আহম্মেদ বলেন, মামলায় আটকৃত সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় চুরি সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবান বন্দি দিয়েছে। চাল চুরির ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল মনিরামপুর থানায় ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্টের ২৫(১)/২৫-ডি ধারায় মামলা হয়।