নদী, খাল বা জলাশয় পার হতে মানুষকে ব্রিজ, কালভার্ট বা সাঁকো বানাতে হয়। কিন্তু রাস্তা পার হতে বানাতে হলো সাঁকো৷
মণিরামপুরে এমনই একটি রাস্তা আছে যার একটি অংশ বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে যায়। প্রতি বছর বর্ষা মোসুমে কাদা-পানি ভেঙে মানুষ রাস্তার ওই অংশটি পার হলেও এবার অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। বাধ্য হয়ে তারা রাস্তার জলাবদ্ধ অংশ পার হতে লম্বালম্বি সাঁকো তৈরি করে তা ব্যবহার করছেন।
অভিযোগ করা হচ্ছে, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমাতে গ্রামবাসী বারবার জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে ঘুরলেও ফল আসেনি।
রাস্তাটির অবস্থান উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামে। দীঘিরপাড় জামতলা মোড় থেকে বসন্তপুর গ্রামের সংযোগ রাস্তাটির ‘বউবাজার’ এলাকায় মাত্র দেড়শ’ ফুট রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।
অন্য বছরগুলোতে এলাকাবাসী পানি মাড়িয়ে রাস্তাটি পার হলেও চলতি মৌসুমে তারা নিজেরা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে রাস্তার ওই অংশ পার হচ্ছেন।
স্থানীয় সেলিম রেজা নামে এক যুবক বলেন, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন। এই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসী ছাড়াও দীঘিরপাড় মহিলা দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাওয়া-আসা করে। এছাড়া বসন্তপুর, হরিহরনগর, গালদা তালতাল এলাকার মানুষের সংক্ষিপ্ত যাতায়াতের পথ এটি। জন্মলগ্ন থেকে দেখছি মানুষজন রাস্তার ওপর থাকা হাঁটু পানি-কাদা মাড়িয়ে যাওয়া আসা করছে। আমাদের দুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেননি।
রুহুল কুদ্দুস নামে অপর যুবক বলেন, এই রাস্তায় চলাচলে দুর্ভোগ কমাতে আমাদের বাপ-চাচাদের দেখেছি জনপ্রতিনিধিদের পিছপিছ ঘুরতে। সবাই আশ্বাস দিয়েছেন কিস্তু রাস্তা করে দিতে কেউ আগাননি।
দীঘিরপাড় এলাকার ইউপি সদস্য মাহাবুর রহমান বলেন, ওই রাস্তাটির পাশে একটি পুকুর আছে। রাস্তা উঁচু করতে অনেকবার মাটি দিয়েছি। সব মাটি পুকুরে ধসে পড়েছে।
খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, রাস্তাটির কিছু অংশে ইটের সলিং বসানো হয়েছে। জলাবদ্ধ অংশ সংস্কারে দ্রুত চেষ্টা চালাচ্ছি। রাস্তাটি সংস্কারে আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।