সীমান্তে সংঘর্ষের পর থেকেই ভারতে চীনা কোম্পানিগুলো স্বস্তিতে নেই। কারণ ভারতে এখন বইছে চীন বিরোধী হাওয়া। এর পরেও এবারের আইপিএলে ভিভোকে টাইটেল স্পন্সর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। প্রবল জনরোষে শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিলই করতে হয়েছে ভিভোর টাইটেল স্পন্সরশিপ।
বৃহস্পতিবার মাত্র একলাইনের বিবৃতি দিয়েই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বিসিসিআই। কোনও ধরনের বাড়তি কথা ছিল না তাতে, ‘ভিভো ও বিসিসিআই মিলে এবছরের আইপিএলে তাদের সাথে পার্টনারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
জুনে লাদাখের গালভান ভ্যালিতে সীমান্ত-সংঘর্ষ হয় চীন ও ভারতের মধ্যে। চার দশকে সীমান্তে এত বড় সংঘাত দুই এশীয় পরাশক্তির মধ্যে আর হয়নি। প্রাণহানিও হয়েছে অনেক। এর পর থেকেই ভিভোকে আইপিএলে রাখা নিয়ে আলোচনা চলছিল। গত জুনে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার কথা বলা হলেও আইপিএল সূচি চূড়ান্ত করার সঙ্গে ভিভোকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিসিআই। এর পরেই শুরু হয় প্রচুর সমালোচনা। আইপিএল বয়কটের হুমকিও আসতে থাকে। তাই বাধ্য হয়েই বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৫ সালে প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য ভিভোর সঙ্গে বিসিসিআই স্পন্সরশিপ চুক্তি করেছিল। ২০১৭ সালে পুনরায় তারা চুক্তিটি পায় ৫ বছরের জন্য। এই চুক্তিতে ভিভোর কাছ থেকে তারা বছরে পাচ্ছিলো ৪৪০ কোটি রুপি। এই বছর চুক্তি বাতিল হলেও আগামী বছরে তাদের সঙ্গে কী হবে বা পরের আসরে- তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছিল, এবারে বাদ পড়লেও ২০২২ ও ২০২৩ সালে আইপিএলে ঠিকই থাকবে ভিভো।