আপাতত বিদায় নিলেও বন্যার শঙ্কা থেকেই গেল

গতকাল মঙ্গলবারও দেশের চারটি জেলায় বন্যা ছিল। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ওই চারটি জেলায় আজ আর বন্যা নেই। অর্থাৎ একদিনের মধ্যেই বন্যামুক্ত হলো চার জেলা।

বুধবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বর্তমানে ৫টি নদীর ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার উপরে পানি থাকলেও বন্যা আক্রান্ত জেলা না থাকায় বলা যায়, আজ থেকে বিদায় নিল বন্যা। তবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র-যুমনা ও সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে ফের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আরেক দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ আগস্টের পর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জ ও কাজীপুর, জামালপুরের বাহাদুরাবাদ, টাঙ্গাইলের এলাসিন এবং মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে পানি বাড়তে পারে।

বুধবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাসে জানায়, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উজান মেঘনা অববাহিকার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

অন্যদিকে দেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের নাকুয়াগাঁওয়ে ১৬৮, গাইবান্ধায় ১১০, কক্সবাজারে ৮০, লরেরগড়ে ১৩৫, মহেশখোলায় ৮৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭৫, লাটুতে ১১৩, চিলমারীতে ৮২ ও টেকনাফে ৬০ মিলিমিটার। অন্যদিকে উজানে অর্থাৎ বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতীয় অংশের ধুব্রিতে ১২১ ও চেরাপুঞ্জিতে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।