অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের কথা বলতে মানা

jono prosason montronaloy

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি ছাড়া কোনো গণমাধ্যমে, অনলাইনে বক্তব্য, মতামত ও কোনো নিবন্ধ প্রকাশ করতে পারবেন না।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ সালের এমন নিয়ম মনে করিয়ে দিয়ে তা প্রতিপালনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জ্যেষ্ঠ সচিবদের সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বেতার ও টেলিভিশন সম্প্রচারে অংশগ্রহণ এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওই বিধির ভাষ্যও চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীরা বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদন ছাড়া কিংবা ‘প্রকৃত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র’ ছাড়া বেতার কিংবা টেলিভিশনের সম্প্রচারে অংশগ্রহণ করতে অথবা কোনো সংবাদপত্র বা সাময়িকীতে নিজ নামে কিংবা বেনামে অথবা অন্যের নামে কোনো নিবন্ধ বা পত্র লিখতে পারবে না। সরকারি কর্মচারীর ন্যায়পরায়ণতা, বাংলাদেশের নিরাপত্তা অথবা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না করে অথবা জনশৃঙ্খলা, শালীনতা, নৈতিকতার বিঘ্ন না ঘটায় অথবা আদালত অবমাননা, অপবাদ বা অপরাধ সংগঠনের প্ররোচনা হিসেবে গণ্য না হয় সেক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ওই সম্প্রচার, নিবন্ধ বা পত্র যদি পুরোপুরি শিল্প-সাহিত্যধর্মী অথবা বিজ্ঞানভিত্তিক অথবা ক্রীড়া সম্পর্কিত হয়, তাহলে আগে থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিধিমালায়।