শীতকালে বাড়তে পারে করোনা, সতর্ক থাকুন: তথ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি

শীতকালে করোনাভাইরাস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, করোনা চলে গেছে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। করোনা আছে। শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে। আমাদের আশঙ্কা ডিসেম্বরে করোনা বৃদ্ধি পেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি আমাদের সবার মেনে চলা প্রয়োজন। আমরা অতীতে বা করোনার শুরুতে যেমন সতর্ক ছিলাম। এখনও একই সতর্কতা আমাদের অবলম্বন করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার আরও কম হত যদি দেশের মানুষ ব্যাপক হারে পরীক্ষা করত।

বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে করোনা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে অনেক আলোচনা-সমালোচনা সত্ত্বেও যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাই যে, আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছি। সারা বিশ্বে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৬ জন আক্রান্ত। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭১ জনের অর্থাৎ ২ দশমিক ৮০ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ, ভারতে ১ দশমিক ৫৯, পাকিস্তানে ২ দশমিক ০৯, যুক্তরাজ্য ১০ দশমিক ৩৬, বেলজিয়াম ৯ দশমিক ৪৬, ফ্রান্সে ৬ দশমিক ৭১, জার্মানিতে ৩ দশমিক ৪২, যুক্তরাষ্ট্রে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার আরও কম হত যদি দেশের মানুষ ব্যাপক হারে পরীক্ষা করত। পরীক্ষার হার নিয়ে আমি বলতে চাই বাংলাদেশে যে পরিমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে সেটা জাপানের কাছাকাছি। জাপানের জনসংখ্যার অনুপাতের যে পরিমাণ পরীক্ষা হয় তার থেকে একটু কম আছে বাংলাদেশে। কিন্তু জাপানের কাছাকাছি। অর্থ্যাৎ করোনা মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি।

মন্ত্রী বলেন, করোনা কখন যাবে আমরা সেটা কেউ জানি না। শীতকালে সেটি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা দেখেছি ডিসেম্বর মাসে যখন করোনা দেখা দিয়েছিল তখন যে সব দেশে শীত ছিল বেশি সে সব দেশে বেশি মানুষ মারা গেছে। সুতরাং শীতকালে করোনা বাড়ার বেশি আশঙ্কা রয়েছে। যেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে। প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে জনগণকে ওয়াকিবহাল করেছেন। আমিও অনুরোধ জানাবো আমরা যেন এই ধারণায় না থাকি যে করোনা চলে গেছে। মনে রাখতে হবে করোনা আছে এবং সেটা শীতকালে বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যবিধি আমাদের সবার মেনে চলা প্রয়োজন।