ধর্ষণের দায় সরকার এড়াতে পারে না: ফখরুল

mirza fokrul
ফাইল ছবি

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলন শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে বিশ্বাস করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের দায় সরকার এড়াতে পারে না।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে নারী নির্যাতনের হার, ধর্ষণের হার যেভাবে বেড়ে গেছে, তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বিবৃতি দিয়েছেন। এটা একটা বিরল ঘটনা। জাতিসংঘের এই বিবৃতিতে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতে দেশের মানুষের সমস্ত ইজ্জত নষ্ট হয়ে গেছে।’

বর্তমান সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার গায়ের জোরে, বন্দুক-পিস্তল দিয়ে ক্ষমতায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে একটা কথা বললেও জেল হয়।’

সারা দেশে আজ সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনকে আপনারা ব্যবহার করছেন অন্যায় কাজে। আপনারা ভোট চুরি করেছেন, ডাকাতি করেছেন, সেখানে তাদের ব্যবহার করেছেন। মানুষ এখন আওয়ামী লীগকে ভয় পায় না, ভয় পায় পুলিশকে। মাদক চোরাকারবারি, তাদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ কীভাবে হবে।’

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীর শ্লীলতাহানির কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এটা এক দিনের নয়, মাসখানেক ধরে এই কাজ করেছে। অথচ সরকারের পুলিশ বাহিনী তা জানে না!’

মির্জা ফখরুল নারীদের প্রতি আহ্বান জানান, ‘আপনাদের প্রতি যে অন্যায়-অবিচার চলছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’

নারী নির‌্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করায় নারী ও শিশু অধিকার ফোরামকে ধন্যবাদ জানান মির্জা ফখরুল।

সংগঠনটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্যসচিব নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।