প্রধানমন্ত্রীর বেতনে সংসার চলে না, পদত্যাগ করতে চান বরিস!

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে বেতন পান তা দিয়ে তার জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ছে এজন্য আগামী গ্রীষ্মে তিনি পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। বরিস জনসনের কনজারভেটিভ (টোরি) দলের এমপিদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর ও মেট্রো ইউকে।

টোরি এমপিরা বলেছেন, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে অভিযোগ করে আসছেন যে প্রতি বছর তিনি যা বেতন পান তা দিয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বেতন প্রতি বছর এক লাখ ৫০ হাজার ৪০২ পাউন্ড।

তারা জানিয়েছেন, বেতন দিয়ে সংসার না চলার কারণে বরিস জনসন পদত্যাগ করতে চান। তবে তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন ও করোনা মহামারি সামলানোর জন্য আরও ছয় মাস ক্ষমতায় থাকতে চান।

খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হয়ে যে টাকা তিনি বেতন পান, আগে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ তিনি উপার্জন করতেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কলাম লিখেই তিনি বছরে ২ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড আয় করতেন। এছাড়া মাসে দুটি সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে আয় করতেন প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড।

খবরে দাবি করা হয়েছে, ছয় সন্তানের লেখাপড়া, সাবেক স্ত্রীর খোরপোষ বাবদ অর্থ প্রদানসহ নানা খাতে অনেক খরচ হয় বরিসের। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই খরচ সামলাতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যার সমাধান এবং করোনা পরিস্থিতি দূর হলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জনসন।

কথিত আছে যে, বরিস জনসন তার পূর্বসূরি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে কে ঈর্ষা করছেন। টেরিজা প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়ার পর থেকে সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে এক মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি আয় করেছেন।

বরিসের দলের এক এমপি বলেছেন, বরিসের ছয় সন্তান। তারা এখনো পরিবারে আর্থিক সহায়তা করার জন্য যথেষ্ট ছোট। বার্কশায়ারের বিখ্যাত ইটন স্কুলে ছেলে উইলফ্রেডকে পাঠাতে বছরে ৪২ হাজার ৫০০ পাউন্ড ব্যয় করতে হবে জনসনকে।

ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন একটি বক্তৃতার জন্য পান এক লাখ ২০ হাজার পাউন্ড। সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বক্তৃতা ও পরামর্শ থেকে ২২ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছেন।