বিদায়ের আগে ইরানের ওপর ট্রাম্পের নয়া নিষেধাজ্ঞা

বিদায়ের আগে আবারো ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে ইরানের ১০ জন ব্যক্তি ও ৫০টি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, খনিজ এবং আর্থিক সেবাদানকারী সংস্থা। খবর রয়টার্সের।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন।

ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রীসহ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে খামেনি নিয়ন্ত্রিত ‘বনিয়াদ মোস্তাজাফান’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এ প্রতিষ্ঠানটি মূলত খামেনির নেটওয়ার্ককে পৃষ্ঠপোষকতা করে।

২০১৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতিগোষ্ঠী ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইরানের সঙ্গে প্রায় সকল ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ফলে অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক বেকায়দায় পড়ে ইরান।

তবে ডেমোক্রেটের জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন ইরানিরা। ইতিমধ্যে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইরানের সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন ফেডেরিকা মোঘেরিনি। বুধবার আটলান্টিক কাউন্সিল থিংক ট্যাংকের সঙ্গে আলাপকালে এ আহ্বান জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সাবেক এই প্রধান।

ফেডেরিকা মোঘেরিনি বলেন, ‘সব পক্ষ ইরানের পরমাণু সমঝোতার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না করলে তেহরান নতুন করে সংলাপে বসবে না।’

প্রবীণ এই কূটনীতিক বলেন, ‘হোয়াইট হাউজ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নেয়ার পরও আমেরিকার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসা নিয়ে ইরানের উদ্বেগ কাটবে না। কারণ পরবর্তী সময়ে আবার কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসে আমেরিকাকে এই সমঝোতা থেকে বের করে নিতে পারেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেন পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়া না যায়।’