নতুন দল, মুশফিকের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ

আজ ২৩ নভেম্বর রাত আর কাল ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবারের সকালটুকুই শুধু বাকি। এরপরই পর্দা উঠবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেবে বেক্সিমকো ঢাকা আর মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নিতে উন্মুখ দুই দলই। আর ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম মুখিয়ে শুভ সূচনা করতে। ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ এ আসরে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক। তার আশা একটি খুব ভাল ও আকর্ষণীয় টুর্নামেন্টের। আর সে আসরে শুভ সূচনা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মুশফিক।

তাইতো মুখে এমন কথা, ‘আমরা তো সবাই চাই খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট হবে। এ বছরই প্রথম লোকাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে। খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করছি বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে যাতে খুব ভালো একটা শুরু করতে পারি এবং সেটা যেন শেষ করতে পারি।’

আর সবার মত ঢাকা অধিনায়ক মুশফিকও আশা করছেন ফাইনালে খেলার। তবে শুরুতেই ফাইনালে চোখ নেই তার। প্রথম লক্ষ্য চার দলের মধ্যে থাকা। আর প্রথম লক্ষ্যই হলো জয় দিয়ে শুরু করা ।

‘আশা থাকবে, আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে টপ ফোরে যাতে যেতে পারি। অবশ্যই, এরপর যাতে ফাইনালটা খেলতে পারি। এবং সর্বশেষ যেটা বললেন, আল্টিমেটলি লক্ষ্য তো হচ্ছে চ্যাম্পিয়নশিপ। সেদিকেই আমাদের লক্ষ্য আছে। আশা করছি শুরু যাতে ভালো করতে পারি।’

মুশফিকের ধারনা, তার দলের টিম কম্বিনেশন খুব ভাল হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট দিনের অ্যাপ্রোচ ও পারফরমেন্সটাই আসলে নিয়ামক। পার্টিকুলার ডে তে কী এক্সিকিউশন করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, যারা কম ভুল করবে এবং মাঠে এক্সিকিউশনটা ভালো করবে, তারাই সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করবে। আমি মনে করি সেদিক থেকে আমাদের ব্যালেন্সটাও খুব ভালো আছে। আমাদের এখন মাঠের কাজটা মাঠে করতে হবে।’

ঢাকায় খেলা তার বরাবরের স্বপ্ন। তবে বিপিএলে কখনো ঢাকায় খেলা হয়নি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আসরে সে সুযোগ এসেছে। সেজন্য পুলকিত মুশফিক। এই বড় দলের অধিনায়ক হওয়াটাকে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি।

সে চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে দৃঢ় প্রতয়ী মুশফিকের কথা, ‘ঢাকাতে খেলার ব্যাপারে যেটা আমি অনেকবারই বলেছি, এটাই ফাস্ট টাইম। সবারই স্বপ্ন থাকে এমন বড় বড় টিমে খেলার, বিশেষত ঢাকায়। আমি খুব ভাগ্যবান যে তারা এবার আমাকে নিয়েছে। আমি চেষ্টা করবো আমার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিদান দেয়ার। অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা অনেক সময় নির্ভর করে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কী চায়। প্রেসিডেন্টস কাপ বা অন্য সময় বোর্ডের অধীনে, তারা মনে করে ইয়াং কিছু প্লেয়ার আছে তাদের সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে ভালো হতে পারে। এখন তারা মনে করেছে যে আমি হয়তো সঠিক ব্যক্তি যে গাইড করতে পারবো। এই জন্য নিয়ে আসলে। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ, ক্যাপ্টেন হিসেবে নাম্বার ওয়ান হওয়া। ইনশাআল্লাহ সেই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত। আমার টিমে যারা আছে তারা যদি সার্পোটটা করে, এটা অসম্ভব না।’

মুশফিকের শেষ কথা হলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে। তার ব্যাখ্যা, ‘এটা এমন একটা ফরম্যাট যেখানে আসলে রেজাল্ট কখনো গ্যারান্টেড না। হ্যাঁ অবশ্যই টি-টোয়েন্টিতে অভিজ্ঞতা কাজে লাগে। একই সঙ্গে দুইটা বা তিনটা প্লেয়ার ভালো খেললে ওই দিন যে কোনো সময় আপনি জিতে যেতে পারবেন। টেস্ট ওয়ানডে আলাদা। এখানে যেটা বলছেন যে অনভিজ্ঞ বা তরুণ। হ্যাঁ, অনভিজ্ঞ বা তরুণ হতে পারে কিন্তু তারা অনেক ম্যাচিউরড। আমি শেষ ১৫-১৬ বছর খেলেছি একটা বিশ্বকাপও জিততে পারিনি। আমাদের দলে তেমন তিন-চারজন প্লেয়ার আছে ওই দলের। ওয়ার্ল্ডকাপ জেতার চেয়ে তো বড় চাপের কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, ওই রকম মেন্টালিটি বা ম্যাচিউরড প্লেয়ার আছে। তারা যদি নিজেদের মেলে ধরতে পারে আর আমরা সিনিয়র যারা আছি তাদের সাপোর্ট দিতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটবে।’