আবরার হত্যা: আদালতের প্রতি অনাস্থা আইনজীবীদের

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বেআইনিভাবে মামলার সাক্ষী পুনরায় আদালতে ডেকে দাঁড়িয়ে জবানবন্দি প্রদান করায় নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে আসামিদের ন্যায় বিচার আশংকা থাকায় আদালতের প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে আটক ২২ আসামির আইনজীবী আবেদনের মাধ্যমে এই অনাস্থা দেন। একইসঙ্গে মামলাটি বদলির বিষয়ে বদলি মিসিং দায়ের জন্য উচ্চ আদালতে সময় প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘আজকে সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। আমরা এসে দেখলাম ইতিপূর্বে সাক্ষী দিয়েছে এবং জেরা সম্পূর্ণ হয়েছে ৩৩ নম্বর সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। তখন আমরা আদালতকে বিষয়টি জানায়। তবুও আদালত সাক্ষ্য সম্পন্ন করেন। যেকারণে মামলায় নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় আমরা বিচারকের প্রতি অনাস্থা দিয়েছি। এছাড়া যেহেতু আমরা উচ্চ আদালতে যাব। এজন্য দুই সপ্তাহ বিচারকার্য মুলতবি রাখার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়া বলেন, ‘আদালতকে কোন রকম সহযোগিতা না করে আবরার হত্যা মামলার বিচারকার্য বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে অনাস্থা দিয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর শুনানি হবে।’

এদিন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সিআইডির আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ কে এম নাজমুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এসময় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ৫ অক্টোবর এ মামলার বাদী ও আবরারের বাবা বরকতুল্লাহর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা করেন।