চট্টগ্রামের জয়, তবুও প্লে-অফের আশা রাজশাহীর

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম দুই ম্যাচে জিতলেও পরের ছয়টি ম্যাচেই হেরেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। শনিবার লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৩৭ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

এই ম্যাচে হারলেও প্লে-অফে খেলার ক্ষীণ আশা রয়েছে রাজশাহীর। লিগ পর্বে নিজেদের সব ম্যাচ খেলে রাজশাহী ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে রয়েছে। অন্যদিকে, ৭ ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল।

আজ সন্ধ্যায় বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচে বরিশাল যদি জয় পায় তাহলে তারা প্লে-অফে খেলবে। আর বরিশাল যদি হারে এবং নেট রান রেটে রাজশাহীর চেয়ে পিছিয়ে যায় তাহলে রাজশাহী প্লে-অফে খেলবে। আর বরিশাল বিদায় নেবে।

বর্তমানে বরিশালের নেট রান রেট -০.৪৩৫। আর রাজশাহীর নেট রান রেট -০.৪৫৯। টুর্নামেন্টে প্লে-অফ নিশ্চিত করা তিনটি দল হচ্ছে চট্টগ্রাম, জেমকন খুলনা ও ঢাকা। চট্টগ্রাম লিগ পর্বে ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জিতেছে। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ অবস্থানে থেকে তারা প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে।

এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে চট্টগ্রামের দেয়া ১৭৬ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। ১৭ বলে ২৬ করেন শেখ মেহেদী হাসান। চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া জিয়াউর রহমান ২টি, মোস্তাফিজুর রহমান ১টি, রাকিবুল হাসান ১টি ও শরিফুল ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন এই দুই ওপেনার। আগের ম্যাচে লিটনকে বিশ্রাম দেওয়া হলেও এই ম্যাচে ফিরেই নিজের ফর্ম ধরে রাখেন তিনি।

এই দুই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিং দলকে বড় স্কোরের আশা দেখাচ্ছিল। ১৩তম ওভারে আনিসুলের বলে অনসাইডে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। তারপরের ওভারেই ফিফটি তুলে নেন লিটনও। মুকিদুলের প্রথম বলেই ফাইন লেগে এক রান নিয়ে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। তবে ফিফটি করার পর দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য। সৌম্যের বিদায়ের পর লিটনও আউট হন।

এই দুই ওপেনারের বিদায়ের পরেই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। লিটনের বিদায়ের পর দ্রুত সাজঘরে ফিরেন দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (১) ও মোসাদ্দেক হোসেন (৩)। তবে শেষদিকে দ্রুত রান তুলতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন শামসুর।

১৯ তম ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন শামসুর। ওই ওভারের প্রথম চার বলে ২৩ রান দেন রেজাউর। রাজশাহীর হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট লাভ করেন আনিসুল। ম্যাচ সেরা হন চট্টগ্রামের নাহিদুল ইসলাম।