‘রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং শ্রেণি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। বিজয়ের চার দশক পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য পরিপূর্ণরূপে এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি।
দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্ব গাঁথা চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং শ্রেণি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। বিজয়ের চার দশক পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য পরিপূর্ণরূপে এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
রওশন এরশাদ বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের ও গৌরবের দিন মহান বিজয় দিবস। যেসব কীর্তিমান মানুষের আত্মত্যাগে এই বিজয় সম্ভব হয়েছিল এবং যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ বিজয়কে অনিবার্য করে তুলেছিলেন, তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
রওশন এরশাদ আরো বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি তার বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল। সেইসঙ্গে বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিল পুরো বাংলাদেশ। এর ফলে বিশ্বের মানচিত্রে একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
বিরোধীদলীয় নেতা প্রত্যাশা করেন, বিজয় দিবসের এবারের শপথ হোক – সবধরনের হানাহানি ও বৈরিতা বিদ্বেষকে পেছনে ফেলে, দেশের ও জনগণের কল্যাণে সবাই একহয়ে কাজ করবে। বিজয়ী জাতি কখনোই পরাভব মানে না। বাংলাদেশ তাঁর লক্ষ্যে অবিচল থাকবে।