‘এ জনপদ যত দিন, বঙ্গবন্ধু ও হাসিনা লিগ্যাসি তত দিন’

obidul kader
ফাইল ছবি

‘এ দেশের দুটি লিগ্যাসি রয়েছে। একটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অন্যটি শেখ হাসিনা। যত দিন এ জনপদ থাকবে, তত দিন এই লিগ্যাসি থাকবে।’

আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা দিনের আলোয় রাতের অন্ধকার দেখতে পান। আসুন, শেখ হাসিনার সুশাসনের অভিযাত্রায় সহযাত্রী হোন।’ তিনি বলেন, ‘এ দেশের দুটি লিগ্যাসি রয়েছে। একটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অন্যটি শেখ হাসিনা। যত দিন এ জনপদ থাকবে, তত দিন এই লিগ্যাসি থাকবে।’

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন পাকিস্তানের সংসদে বাংলাদেশকে নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশকে তারা ২৪ বছর শোষণ করেছে, সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করেছে। পাকিস্তান এখন সেই বাংলাদেশ হতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘দেশের অগ্রগতি কারো কারো পছন্দ হয় না। সদ্যঃস্বাধীন দেশে যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপন বর্ণ লুকিয়ে তারা আমাদের চারপাশে আছে। অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।’

সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জনগণের পক্ষে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে ভুলে গেছে। দলটি দোটানায় রয়েছে। দলের ভেতর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষ তৈরি হয়েছে। দেশ ও জনগণের কথা ভাবার সময় নেই তাঁদের।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে চায়। নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে দেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। পোলিং এজেন্ট না দিয়ে নির্বাচনে যোগ দিয়ে দুপুরবেলা তাঁরা নির্বাচন বর্জন করেন। মূলত নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে তাঁরা নির্বাচন বর্জন করেন।’

সেতু মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সবাই যদি বিএনপির লোক হয়, তাতেও কোনো লাভ হবে না। কমিশন তো ভোট দেবে না। ভোট দেবে জনগণ। সেই জনগণই বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তাঁদের এ অপচেষ্টা হালে পানি পাবে না।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।