যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক আইন জারির আলোচনা, ট্রাম্প বললেন ‘ভিত্তিহীন খবর’

trump

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই নানা ধরনের অভিযোগ তুলে চলেছেন তিনি। এরই মধ্যে গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক ডেকেছিলেন ট্রাম্প।

সেই বৈঠকে আলোচনার সময় নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার স্বার্থে সামরিক আইন জারি করা এবং নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে তদন্তের কথা বলা হয়। আর এজন্য সিডনি পাওয়েলকে স্পেশাল কাউন্সেল নিয়োগ দেয়ার কথা উঠতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।

আইনজীবী সিডনি পাওয়েল ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন- এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মেনে না নিয়ে ট্রাম্প যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তা সফল করার জন্য তিনি যেন সামরিক আইন জারি করেন।
ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের অনেকেই সেই পরামর্শ মেনে না নিয়ে বিরোধিতা করেছেন। মার্কিন বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

তবে এক টুইট বার্তায় সামরিক আইন জারি করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সংবাদ পুরোটাই ভিত্তিহীন হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে ট্রাম্প। গতকাল রবিবারই এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেন তিনি।

সিএনএন অবশ্য দু’জন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গত শুক্রবার এ ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার তথ্য জানায়। যদিও সামরিক আইন জারির আলোচনায় ট্রাম্পের সম্মতি ছিল কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি।