আবরার হত্যা মামলা : পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ ডিসেম্বর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত নতুন এই দিন ধার্য করেন।

এদিন এ মামলার উচ্চ আদালতের বদলিসংক্রান্ত আদেশ দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে অ্যাডভোকেট সনদ দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ৬ ডিসেম্বর আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অনাস্থার পর উচ্চ আদালতের বদলিসংক্রান্ত আদেশ দাখিলের জন্য ২২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তবে গত ২১ ডিসেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতের পরিবর্তন চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে আসামিদের ন্যায়বিচার পাওয়ার আশঙ্কা থাকায় কারাগারে আটক ২২ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী আবেদনের মাধ্যমে আদালতের প্রতি অনাস্থা দেন। একই সঙ্গে মামলাটি বদলির বিষয়ে বদলি মিসিং দায়েরের জন্য উচ্চ আদালতে সময় প্রার্থনা করেন। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আদালত ৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় মোট ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর এ মামলার বাদী ও আবরারের বাবা বরকতুল্লাহর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আবরার ফাহাদকে। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।