গত এক দশকে ওয়ানডেতে সাকিবের পারফরম্যান্স

shakib

গত এক দশকের পারফরম্যান্স বিবেচনায় গতকাল (রবিবার) তিন ফরম্যাটে পৃথক তিনটি একাদশ প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি একাদশে বাংলাদেশ থেকে কোনো ক্রিকেটার জায়গা না পেলেও ওয়ানডে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

এই একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ভারত থেকে সুযোগ পেয়েছেন মোট তিনজন। অপর দুইজন হলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়া থেকে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল স্টার্ক।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সুযোগ পাওয়া দুই ক্রিকেটার হলেন ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স ও স্পিনার ইমরান তাহির। একাদশে একমাত্র ইংলিশ ক্রিকেটার অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। নিউজিল্যান্ড থেকে আছেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। শ্রীলঙ্কা থেকে সুযোগ পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।

মর্যাদাপূর্ণ এই একাদশে সুযোগ পাওয়া সাকিব গত এক দশকে ওয়ানডেতে কেমন পারফরম্যান্স করেছেন তা দেখে নেয়া যাক।

২০১১ সাল থেকে ২০২০, এই দশ বছরের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার কারণে একটি বছর মাঠে ছিলেন না সাকিব। বাকি ৯ বছরে ব্যাট হাতে ৯৬ ইনিংসে ৪০.৬ গড়ে তিনি করেছেন ৩ হাজার ৪৮৯ রান। এর মধ্যে তার ৩০টি হাফ সেঞ্চুরি ও ৪টি সেঞ্চুরি রয়েছে।

বল হাতে ১০২ ইনিংসে ৩১.৬ গড়ে সাকিব শিকার করেছেন ১৩১ উইকেট। দশ বছরে তার বোলিং ইকোনোমি রেট ৪.৭১। সেরা বোলিং ২৯ রানে ৫ উইকেট।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশ মোট ৩টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। তিনটি বিশ্বকাপেই খেলেছেন সাকিব। ২০১১ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

২০১৯ বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সাকিব ছিলেন তিন নম্বরে। ৮ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ৬০৬ রান। পাশাপাশি বল হাতে ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

গত এক দশকে সাকিব ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ২০১৯ সালে। এই বছর ৭৪৬ রান করেন তিনি। বল হাতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন ২০১১ সালে। ওই বছর তিনি শিকার করেছিলেন ২৫টি উইকেট।