২৪ পৌরসভায় ভোট শেষ, চলছে গণনা

ec logo

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ। দু-এক জায়গায় পাল্টা ধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবেই।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। সবকটি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেয়া হয়। সকালের দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের দেখা মেলে। অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা।

অনেক জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ভোটাররা। আগে থেকে অভিজ্ঞতা না থাকায় বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে অনেকেই ভোট দিতে অধিক সময় নিয়েছেন। এতে বাইরে লাইনে অপেক্ষা করে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বাকি ভোটারদের। আবার অনেক কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলাতেও বিপাকে পড়েন ভোটাররা।

এদিকে ঢাকার ধামরাইয়ে পৌরসভা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু। এছাড়া খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়ের খান।

২৪ পৌরসভার মধ্যে ২৩টিতেই বড় এই দুই দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। সেখানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নেই। কয়েকটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

ইসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪টি পৌরসভায় মেয়র পদে ৯৩, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম ধাপের এ নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

এবার পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে- সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

২৪টি পৌরসভায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৩১৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ২৪ হাজার ৮০৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৭ হাজার ৩৭ এবং নারী ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৭০ জন। ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১ হাজার ২৭৬ পুলিশ, ২ হাজার ৮৭১ আনসার, ৭২টি র্যা বের টিম, ৫০ প্লাটুন বিজিবি, মোবাইল ফোর্স ৭২টি এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স ২৪টি মোতায়েন রয়েছে।

যেসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়: পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা সদর, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জের মানিকগঞ্জ সদর, ঢাকার ধামরাই, সুনাগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড।

গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে ইসি। কিন্তু গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।