জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনল অস্ট্রেলিয়া

নতুন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে ২০২১ সালকে বরণ করে নিল বিশ্ব। নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুনত্ব আনতে ব্যস্ত সবাই।

নতুন বছরে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া। বছরের শুরুর দিনই নতুন ধরনের জাতীয় সংগীত গাইতে যাচ্ছে দেশটির জনগণ।

বিগত বছরের শেষ দিনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জাতীয় সংগীতে পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। আজ থেকে পরিবর্তিত জাতীয় সংগীত গেয়ে ২০২১ সাল শুরু করবেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে দেশটির জাতীয় সংগীতে। অতীত তুলে ধরা হয়েছে এখন। যুক্ত করা হয়েছে আদিবাসীদের দীর্ঘ ইতিহাস। এখন থেকে অস্ট্রেলিয়াকে আর ‘নবীন এবং মুক্ত’ উল্লেখ করা হবে না। বরং থাকবে অস্ট্রেলিয়া ‘এক এবং মুক্ত’।

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ঘোষণা আকস্মিক হলেও বিষয়টিকে সরকারের বিভিন্ন স্তরসহ জনগণ স্বাগত জানিয়েছে।

এতে দেশটির দীর্ঘ দেশীয় ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটছে বলে জনগণ খুশি ও উচ্ছ্বসিত।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী মরিসন জাতীয় সংগীতের এই পরিবর্তন ঐক্যের চেতনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বুকে অন্যতম বহু-সাংস্কৃতিক জাতি আমরা। একটি জাতি হিসেবে যে দূরত্ব আমরা অতিক্রম করেছি, তার স্বীকৃতি দেয় এই জাতীয় সংগীত। ৩০০-এরও বেশি পূর্বসূরি ও ভাষাগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এটি।’

জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনার প্রসঙ্গটি প্রথম তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের নেতা গ্ল্যাডিজ বেরেজিকলাইন।

গত বছরের শুরুতে সংসদে জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করে তিনি বলেছিলেন, বর্তমান জাতীয় সংগীতের কথায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জাতির সংস্কৃতির গর্বের কথা ফুটে ওঠেনি।

প্রসঙ্গত ১৮ শতকে শ্বেতাঙ্গ ইংরেজদের উপনিবেশ গড়ে ওঠার কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়াতে জনগণের বসবাস ছিল। ব্রিটিশ সেটেলাররা অস্ট্রেলিয়ায় কলোনি গড়ার আগে এটি ছিল লাখ লাখ আদিবাসীর ভূখণ্ড। অথচ এতদিন ধরে দেশটির জাতীয় সংগীতে আদিবাসীর কথা ও ইতিহাস উপেক্ষিত ছিল।