এখনো ইরানে ‘বেপরোয়া’ হামলা চালাতে পারেন ট্রাম্প!

trump

হাতে আছে আর মাত্র ১৬ দিন। এরপরই ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তবে এই শেষ সময়ে এসেও ইরানের ওপর বেপরোয়া সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শীর্ষ ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রথম বার্ষিকীতে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

গত বুধবার উপসাগরের উপর দিয়ে তিন বার মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান উড়েছিল। ৩ জানুয়ারি সোলাইমানি হত্যার বার্ষিকীতে যেন ইরান পাল্টা ব্যবস্থা নিতে না পারে তার প্রতিরোধে এমনটি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

তবে আর সপ্তাহ দুয়েক ক্ষমতায় থাকা ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র যেমন ইসরায়েল, সৌদির মাধ্যমে ইরানের ওপর ব্যবস্থা নিতে চাপের মধ্যে ছিলেন বলে জানিয়েছেন নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক ও অঞ্চল গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ড্যানি পোস্টেল।

আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরান ও মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বিশেষজ্ঞ পোস্টেল বলেন, ট্রাম্প তার গেমের শেষ দৃশ্যে খুব আহত এবং কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। যে কয়দিন বাকি রয়েছে এর মধ্যে তিনি চূড়ান্ত অনাচারমূলক আচরণে সক্ষম। এটি হতে পারে সবচেয়ে অনর্থক ও বেপরোয়া আঘাত।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ এক টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘ইরাক থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েল ইরাকে মার্কিন অবস্থানে এমনভাবে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করছে যাতে তার দোষ ইরানের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিদায়ের ক্ষণে ট্রাম্পকে একটি বানোয়াট যুদ্ধে জড়ানো যায়।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প, আপনাকে পাতানো ফাঁদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। আগুন নিয়ে যেকোনো খেলার কঠোর জবাব দেয়া হবে, বিশেষ করে আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বিরুদ্ধে জবাব হবে ভয়ংকর।’

ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সোলাইমানি হত্যার চূড়ান্ত প্রতিশোধ নেয়া হবে।