সিনেটে শুরু হচ্ছে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার

ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় হামলায় উসকানি দেওয়ায় প্রতিনিধি পরিষদে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের দলিল সোমবার সিনেটে উপস্থাপন করা হয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারির ওই দাঙ্গায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নিয়োজিত কংগ্রেসের অভিশংসন ব্যবস্থাপকরা সিনেটে প্রস্তাবটির দলিল হস্তান্তর করেছেন। অভিশংসন ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জ্যামই রাসকিন।

তিনি সিনেট ফ্লোরে অভিশংসন প্রস্তাব পাঠ করেছেন। যদিও সিনেটে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রিপাবালিকান সদস্য ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন।

রাসকিন বলেন, ডোনাল্ড জন ট্রাম্প বড় ধরনের অপরাধে জড়িত হয়ে পড়েন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অপরাধ করেছেন তিনি।

‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থতার অখণ্ডতাকে তিনি হুমকি দিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে হস্তক্ষেপ এবং সরকারের সমমর্যাদার শাখাগুলোকে বিপন্ন করে তুলেছেন।’

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শপথ নেওয়ার সাত দিন আগে গত ১৩ জানুয়ারি প্রতিনিধি পরিষদে নজিরবিহীন দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছেন ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্প। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সিনেটে তার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।

সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেন, ১০০ সিনেট সদস্য বিচারকের ভূমিকা পালন করবেন। মঙ্গলবার তাদের শপথ হবে এবং ট্রাম্পকেও সমন দেওয়া হবে।

রিপাবলিকানদের কেউ কেউ বলে আসছিলেন, ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন দণ্ড কার্যকর করার সুযোগ মার্কিন সংবিধানে নেই।

সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা চাক শুমার বলেছেন, ১৮৭৬ সালে কংগ্রেসে মার্কিন সংবিধানের ব্যাখ্যায় ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরও দণ্ড কার্যকর বিধান রয়েছে।

সিনেটে অভিশংসন দণ্ড কার্যকর হলে ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।