তৃতীয় ধাপে ভাসানচরের পথে আরো ১৭৭৬ রোহিঙ্গা

তৃতীয় ধাপে রোহিঙ্গাদের ১ হাজার ৭৭৬ জনের একটি দল নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে চারটি জাহাজে করে তারা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।

ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয়।

রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক জানান, অন্য একটি জাহাজে করে তাদের মালপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তারা ভাসানচরে পৌঁছে যাবে। সাগর শান্ত আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব জাহাজের সঙ্গে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের দু্টি জাহাজ ও চারটি স্পিডবোট রয়েছে।

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ভাসানচরে যেতে আগ্রহীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের দু’দিন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রায় ১৮০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন।

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে ভাসানচরে এটি হচ্ছে তৃতীয় দফা ও বৃহৎ সংখ্যায় রোহিঙ্গা স্থানান্তর। এছাড়া ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের আরো একটি দলকে চতুর্থ দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার শরণার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, ‘কক্সবাজারের আর্থ-সামাজিক কাঠামো এবং পরিবেশের ওপর চাপ কমাতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে প্রায় ৪’শ পরিবারের ১হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৪৩০ পরিবারের ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয় ভাসানচরে। তৃতীয় ধাপে এই দফায় দু’দিনে প্রায় ৬’শ পরিবারের তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে।