এস কে সিনহার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরো দুইজন

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচার মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক স্টাফ বেঞ্চ রিডারসহ দুজন।

এঁরা হলেন বেঞ্চ রিডার মাহবুব হোসেন ও ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার আবু জাহিদ আনসারি। আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন তাঁরা।

এ নিয়ে মামলায় ২১ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ চার আসামি এখনো পালাতক। অন্য তিন আসামি হলেন ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

গত বছরের ১৮ আগস্ট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। এর আগে একই বছরের ১৩ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এ বদলির আদেশ দেন।

২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধভাবে প্রকৃত উৎস, অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন।

পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় আসামিরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।