গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কাজ চলছে : তথ্যমন্ত্রী

hasan mahmud
ফাইল ছবি

গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার সংসদের একাদশতম অধিবেশনের সমাপনী দিনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের এমপি মো. আবদুস শহীদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে গুজব ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে বাংলাদেশ টেলিভিশন বর্তমানে জনসচেতনামূলক বিভিন্ন স্পট ও ফিচার নিয়মিতভাবে প্রচার করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে-গুজবে কান দেবেন না, গুজবে জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে পুলিশ-র‌্যাব, গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করুন, বিশেষ সতর্কী গুজব ছড়াবেন না (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম), গুজব ছড়াবেন না আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না ইত্যাদি।

এসময় বিএনপি দলীয় এমপি মো. আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার বিশ্বাস করে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একান্ত সহায়ক। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে দেশে দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা ৪৪৫ থেকে এক হাজার ৩০০ উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি মিডিয়া তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পত্রিকাগুলোতে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদান ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের সুযোগ দিয়ে সংবাদপত্রকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারিভাবে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। এর আওতায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৪০ জন সাংবাদিককে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া নিয়মিতভাবে সরকার অসুস্থ অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে। করোনাকালে সমস্যা মোকাবিলায় সারাদেশে তিন হাজার সাংবাদিককে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, ইতিমধ্যে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নকারী সংবাদপত্রকে বিনাশুল্কে নিউজপ্রিন্ট প্রদান করা হয়।